সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। পরিবর্তে ২০২২ সাল থেকে এসব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে।
সূত্র বলছে, শিশুদের ওপর থেকে পরীক্ষার চাপ কমাতে শিক্ষাক্রম থেকে এসব শ্রেণির পরীক্ষা উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ জানান, ২০২১ সাল থেকে এটি কার্যকর করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। তবে ২০২২ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া পুরোদমে কার্যকর হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দিয়ে ক্লাস মূল্যায়ন করে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য বিভিন্ন জেলার ১০০টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালুও করা হয়েছে। তবে ২০২১ সাল থেকে সারাদেশের সাড়ে ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কার্যকর সম্ভব হচ্ছে না।
মূলত করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণেই সেটি আগামী বছর থেকে কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এরআগে ২০২১ সালে নতুন পাঠ্যসূচি শুরু করার ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছর পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ স্কুলে তা চালুও করা হয়। নতুন কারিক্যুলামে পাঠ্যবই তৈরি করার কথা থাকলেও এনসিটিবি তৈরি করতে পারছে না। এ কারণে আগামী বছর ক্লাস মূল্যায়ন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে পরবর্তী বছর থেকে এটি কার্যকর হবে।
এদিকে গত বছরের ১৩ মার্চ এক অনুষ্ঠানে শিশুদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতিরিক্ত চাপে লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের মধ্যে যেন ভীতি তৈরি না হয় সেজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের নজর দিতে অনুরোধ করেন তিনি।