ফেনীতে একটি যাত্রীবাহি ট্রেন ও একটি যাত্রীবাহি বাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে। আজ (১১ অক্টোবর) রোববার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের কারো নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা তিনজনই বাসের যাত্রী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। বাকীদের ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় বিকট শব্দে স্থানীয়দের ঘুম ভাঙ্গে। স্থানীয়রা ছুটে যায় উদ্ধার কাজে। পরে ফেনী সদর থানা পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌঁছে।
ফেনী রেল ষ্টেশান জিআরপি পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, যাত্রীবাহি বাসটি চাপাই নবাবগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। অপরদিকে ‘ঢাকা মেইল’ ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। এসময় ফতেহপুর রেল গেট খোলা ছিল। বাস ও ট্রেন একই সময় পারাপারে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় বাসটি ছিটকে সড়কের বাইরে পড়ে যায়। এতে দুর্ঘটনাস্থলে দুইজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা যায়। আহত ১১ জনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন-রাজশাহীর মনিরুল (২০), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আবদুল কুদ্দুছ (২৫), নাটোরের ফারুক হোসেন (২০), বেলাল (৫৫), সজল (২২), আরিফুল ইসলাম (৩৫), আশিক (১৭), চাপাই নবাবগঞ্জের রুবেল (৩০), ফেনীর সোনাগাজীর দুলাল (৫০), কিশোরগঞ্জের আজাহারুল ইসলাম (২২), ও পাবনার রন্দু খান (২৪)।
ফেনী রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম একটি যাত্রীবাহি ট্রেন ও একটি যাত্রীবাহি বাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও ১৫ জন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।