বাড়ছে শীতের প্রকোপ। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পুরাতন শীতের কাপড়ের ফুটপাতের দোকানগুলো এখন ক্রেতাদের ভিড়ে ভরপুর। গতবারের তুলনায় গতবারের পুরান গরম কাপড়ের মূল্য তুলনামূলক বেশি হওয়ায় হতাশায় রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিন চারদিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত। হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন্ কুয়াশার চাদরে ঢাকা ভাঙ্গুড়া উপজেলার ছিন্নমুল ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলোকে গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাইতো মানুষগুলোর উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ফুটপাতের পুরান গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।
ক্রেতা আরিফ বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেশি গরিব ও অসহায়। সরকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণির মানুষই যাতে কম মুল্যে গরম কাপড় ক্রয় করতে পারে সে জন্য উন্নত দেশ থেকে পুরান গরম কাপড় আমদানি শুরু করেছে। কিন্তু দিন দিন যেভাবে পুরান কাপড়ের দাম বাড়ছে তাতে সরকারের এ মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব না। যে সোয়েটারের মূল্য ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা সে সোয়েটার বর্তমানে ক্রয় করতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। পুরুষ মানুষের একটি জ্যাকেট বা একটি ভালো সোয়েটারের মূল্য ছিল ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যণ্ত। তিনি আরও বলেন, শীত বেশি পড়ায় ব্যবসায়ীরা বর্তমানে লাভ কম হওয়ার কথা বলে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাল লাখ টাকা।
শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে উপজেলার নিম্নবিত্ত, ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের একমাত্র অবলম্বন হলো ফুটপাতের পুরান শীতবস্ত্র। কিন্তু এবারে তুলনামূলক মূল্য বেশি হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের জনগণ। উপজেলায় এখনও সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কোনো শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগও বাড়ছে তাদের।
মোঃ আকছেদ আলী
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি।
মোবাইল-০১৭১০-৯৮৬৪৩৫
তারিখঃ ১১/১২/২০২০ইং