কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব গৈয়াতলা গ্রামের ৪৬ নং পোল্ডারের স্লুইসগেট থেকে লবণ পানি প্রবেশ করে বোরো মৌসুমের চাষকৃত নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি পতিত হওয়ার সংকায় চিন্তিত কৃষকরা।
১৯ ডিসেম্বর শনিবার বেলা ১০ টায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সদস্যরা স্লুইচগেট অভিমুখে একত্রিত হয়ে মৌন প্রতিবাদ করেন। কৃষকরা বলেন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের একটি স্লুইজের কপাট ঠিক নেই, প্রতিটি স্লুইস থেকেই তাই লবণ পানি প্রবেশ করে বোরো মৌসুম সহ আমন মৌসুমে ফসলি জমি পতিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। কৃষকরা বলেন পুর্ব গইয়াতলা স্লুইজের কপাট না থাকার কারনে লবন পানি ঠেকাতে তারা নিজেদের অর্থায়নে কাঠের পাটাতন দিয়ে কপাট নির্মান করেন। কিন্তু কতিপয় মাছ শিকারী দুর্বৃত্ত রাতের আধারে কাঠের পাটাতন সরিয়ে লবন পানি উঠিয়ে মাছ শিকার করে। তাই কৃষক দের বোরো চাষ করতে না পাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।এবিষয়ে স্লুইস কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান শিকদার অভিযোগ করে বলেন আলাউদ্দিন শিকদার, কুদ্দুস গাজী,দেলোয়ার গাজী এরা মিলে এই স্লুইজে মাছ ধরে এবং লবন পানি উঠিয়ে কৃষক দের ক্ষতি করে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আলাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অসিক্বার করেন। তিনি বলেন আমি কৃষকের পক্ষে, কৃষকের ক্ষতি হয় এমন কাজে আমি সম্পৃক্ত নই স্লুইচ থাকবে উম্মুক্ত এ ব্যাপারে আমি কৃষকে সহযোগীতা করব।
কৃষকদের দাবি কপাট গুলো যাতে লোহার লাগানো হয় এবং কতিপয় সার্থান্যাশী মাছ শিকারী যাতে লবন পানি ওঠাতে না পারে সেই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন কে কৃষকের সার্থ রক্ষার জন্য ব্যাবস্থা নেয়ার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা প্রকৌশলী খান মোঃ উলিউজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন প্রতি বছর স্লইচ সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাই কিন্তু বরাদ্দ পাই না। তাই বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সংস্কার করা হবে। তিনি আরও বলেন পরিদর্শন করে কোন ধরনের সহযোগিতা করা সম্ভব হলে করব।