ঢাকাশনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেরাজ : আল্লাহর কুদরতের প্রদর্শনী

ডেস্ক রিপোর্ট
মার্চ ১১, ২০২১ ৪:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে মেরাজের ঘটনা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। মেরাজ অর্থ- ঊর্ধ্বগমন। পরিভাষায় মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক সশরীরে এবং সজ্ঞানে জিবরাইল ও মিকাইল (আ.)-এর সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমান থেকে ধাপে ধাপে সপ্তম আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিম পর্যন্ত ভ্রমণ করে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ ও জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করে ফিরে আসাকে মেরাজ বলা হয়।

মেরাজ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি পবিত্র আল্লাহ, যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রিভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি। যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনগুলো দেখাতে পারি। নিশ্চয় তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত-১)।
মেরাজ সংঘটিত হওয়ার বছর ও তারিখ নিয়ে হাদিস শরিফে সুস্পষ্ট কোনো কথা পাওয়া যায়নি। তবে নবুওয়াতের ১১তম বছরের ২৭ রজবে মেরাজ সংঘটিত হওয়ার শ্রুতি রয়েছে। তখন হুজুর (সা.)-এর বয়স ছিল ৫১ বছর।

পবিত্র কুরআনের সূরা নাজমে ও সূরা ইসরায় মেরাজের বিবরণ বিবৃত হয়েছে। বুখারি ও মুসলিম শরিফসহ সিহাহ সিত্তার অন্যান্য কিতাবে এই ইসরা ও মেরাজের বিষয়টি নির্ভরযোগ্য বিশুদ্ধ সূত্রে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। বায়তুল­াহ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণকে ইসরা বলে। আর পরবর্তী ভ্রমণ ও আল্লাহর দিদার শেষে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনকে মেরাজ বলে। মেরাজের প্রথম ধাপ হলোÑ আসমানগুলো প্রদক্ষিণ ও নবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ।

আসমানি মোলাকাত

প্রথম আসমানে হজরত আদম (আ.); দ্বিতীয় আসমানে হজরত ইয়াহইয়া (আ.) ও হজরত ঈসা (আ.), তৃতীয় আসমানে হজরত ইউসুফ (আ.); চতুর্থ আসমানে হজরত ইদ্রিস (আ.); পঞ্চম আসমানে হজরত হারুন (আ.); ষষ্ঠ আসমানে হজরত মুসা (আ.)।

প্রত্যেকের সঙ্গেই সালাম, কথোপকথন ও কুশল বিনিময় হয়েছে। সর্বশেষ সপ্তম আসমানে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। যিনি বায়তুল মামুরের সঙ্গে হেলান দিয়ে বসা ছিলেন।

হুজুর (সা.) বাইতুল মামুর পরিদর্শন করলেন, যেখানে প্রতিদিন ৭০ হাজার ফেরেশতা আসেন ও প্রস্থান করেন। যারা দ্বিতীয়বার আসার সুযোগ পান না। অতঃপর সিদরাতুল মুনতাহার কাছে গেলেন। সেখানে চারটি নদী দেখলেন; দুটি প্রকাশ্য ও দুটি অপ্রকাশ্য। অপ্রকাশ্য দুটি নদী জান্নাতের আর প্রকাশ্য নদী দুটি হলো নীল ও ফোরাত। তারপর বায়তুল মামুরে পৌঁছালে এক পেয়ালা শরাব, এক পেয়ালা দুধ ও এক পেয়ালা মধু পেশ করা হলো। হুজুর (সা.) দুধ পান করলেন, এটাই স্বভাবসুলভ (ইসলাম)। (বুখারি : ৩৬৭৪)।

জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন

হুজুর (সা.)কে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি দেখানো হয়।

১. বেনামাজিকে বড় পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়, এতে মাথা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, পুনরায় ভালো হয়, আবার আঘাত করা হয়।

২. জাকাত অনাদায়ীদের সামনে ও পেছনে পাওনাদাররা থাকে। আর তারা পশুর মতো চরে এবং নোংরা আবর্জনা ময়লা ও পুঁজ এবং কাঁটাযুক্ত আঠালো বিষাক্ত ফল, জাহান্নামের উত্তপ্ত পাথর ভক্ষণ করতে দেখলেন।

৩. চোগলখোরদের তাদের পার্শ্বদেশ থেকে গোশত কেটে খাওয়ানোর দৃশ্য দেখলেন; শুনলেন তাদের বলা হচ্ছে, যেভাবে তোমার ভাইয়ের গোশত খেতে, সেভাবে এটি ভক্ষণ করো।

৪. একদল লোক দেখলেন, তারা আগুনের লোহার নখর দিয়ে চেহারা ও বক্ষ বিদীর্ণ করছে। হুজুর (সা.) জিবরাইল (আ.)-এর কাছে তাদের পরিচয় জানতে চাইলেন, তিনি বললেন- এরা হলো সেসব লোক, যারা পশ্চাতে মানুষের গোশত ভক্ষণ করত অর্থাৎ আড়ালে সমালোচনা করত।

৫. সুদখোরদের দেখলেন, বড় বড় পেট নিয়ে তারা তাদের জায়গায় অনড়। আর ফেরাউনের সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছে।

৬. জিনাকার ও খারাপ কাজে অভ্যস্ত নারী এবং ব্যভিচারী এবং ভ্রƒণ ও সন্তান হত্যাকারীদের পায়ে আংটা লাগিয়ে ঝুলন্ত ও আর্তচিৎকাররত অবস্থায় দেখলেন।

৭. আরেক দলকে দেখলেন, তাদের সামনে একটি উত্তম পাত্রে সুস্বাদু তাজা ভুনা গোশত এবং পাশের নোংরা পাত্রে পচা মাংস রাখা রয়েছে। তারা তাজা সুস্বাদু গোশত রেখে নোংরা পাত্রের পচা মাংস ভক্ষণ করছে। হুজুর (সা.) জিবরাইল (আ.)-এর কাছে কারণ জানতে চাইলেন? তিনি জাবাবে বললেন, এরা হলো ঘরে বৈধ স্ত্রী রেখে অন্য নারীদের কাছে গমনকারী পুরুষ এবং ঘরে বৈধ স্বামী রেখে পরপুরুষগামিনী নারী।

৮. আরেক দল লোককে অনেক লাকড়ি সংগ্রহ করতে দেখলেন, যা সে বহন করতে অক্ষম তারপরও আরও লাকড়ি জমা করছে। হুজুর (সা.) জিবরাইল  (আ.)কে আগের মতো প্রশ্ন করলেন? তিনি বললেন, সে হলো আপনার উম্মতের মানুষের আমানত খেয়ানতকারী; বরং আরও অধিক গ্রহণকারী।

৯. গালমন্দকারী ও ফেতনা সৃষ্টিকারীদের শাস্তি দেখলেন, তাদের জিহ্বা ও ঠোঁট আগুনের কাঁচি দ্বারা কাটা হচ্ছে, আর পুনরায় তা আগের মতো হয়ে যাচ্ছে এবং আবার কাটা হচ্ছে।

১০. দেখলেন, ছোটো একটি পাথর হতে বিশাল এক ষাঁড় বের হলো; পুনরায় ওই ষাঁড় সে পাথরের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল; কিন্তু তা সম্ভব হলো না। হুজুর (সা.) পুনরায় জিবরাইল (আ.)কে প্রশ্ন করলেন? তিনি বললেন, এটা হলো যারা বড় বড় দাম্ভিকতাপূর্ণ কথা বলে লজ্জিত হয়, পরে আর তা ফিরিয়ে নিতে পারে না।

১১. এতিমের সম্পদ আÍসাৎকারীদের দেখলেন। তাদের ওষ্ঠাধর যেন উটের ঠোঁটের মতো। তাদের মুখে আগুনের জ্বলন্ত কয়লা প্রবিষ্ট করানো হচ্ছে এবং তা তাদের পায়ুপথ দিয়ে বের হয়ে আসছে।

১২. মদ, মাদক ও নেশা গ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। তারা জাহান্নামিদের শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে।

১৩. হুজুর (সা.) মালিক নামে জাহান্নামের রক্ষী ফেরেশতাকে দেখলেন। সে মলিন মুখে হাসিবিহীন দাঁড়িয়ে আছে, বলা হলো জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে সে কখনো হাসেনি। (বুখারি ও মুসলিম)।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।