পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মোঃআবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন এক কলেজ ছাত্রী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্তকে এক নম্বর আসামি করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত ছাত্রনেতা পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেড় বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় আবু বকরের। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীকে বেশ কয়েকবার প্রেমের প্রস্তাব দেন আবু বকর। এতে রাজি না হলে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এরপর বাবা মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে উপজেলার ধানখালী ইউপির পাঁচজুনিয়া গ্রামের বাড়িতে ডাকেন সিদ্দিক। ঘটনার দিন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। এ সময় ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তিনি। আত্মরক্ষায় চিৎকার দিলে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে অন্যত্র চলে যান অভিযুক্ত সিদ্দিক।
মামলার বিবরণে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পরিবারের সদস্যরা ঘরে ফিরে এলে তাঁদের কাছে ঘটনা খুলে জানালে তাঁরা ওই ছাত্রীকে খারাপ ভাষায় গালাগালি। পরবর্তীতে সিদ্দিক ছাত্রীকে না চেনার ভান করেন। পরে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান ভুক্তভোগী। পরে রাত ৮টার দিকে কলাপাড়া থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, `ঘটনার দিন আমি পটুয়াখালী ডিবি অফিসে ছিলাম, বাড়িতে ছিলাম না। এ ঘটনা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।’
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।