মানিকগঞ্জ শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী খালটি বর্তমানে শহরে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য পরিবেশগতভাবে হুমকি স্বরূপ হয়ে পড়েছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও সৌন্দর্য্য বর্ধনের বিপরীতে ঐতিহ্যবাহী খালটি এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড় আর মশার অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে।
শহরের সব ধরনের ময়লা খালে ফেলায় এটি এখন আবর্জনার ভাগাড় । এসব আবর্জনা থেকে প্রচুর পরিমাণে মশার জন্ম হচ্ছে। দখল-দূষণে খালটি ক্রমাগত সংকীর্ণ হয়ে আসছে। এতে শহরের যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে তেমনি আবর্জনা ও মশা-মাছির উপদ্রবে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে বসেছে।
ময়লা আর কচুরিপানার স্তূপ ও বিভিন্ন ধরনের ছোট আগাছা গাছ এখন মশা উৎপাদনের কারখানা । প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হচ্ছে খালের ময়লা থেকে। ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় খাল থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। আর মশা, মাছি এবং পোকা মাকড়ের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিণত হয়েছে এই খালটি।
অপরদিকে, ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় খালপাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে দাতা সংস্থার অর্থায়নে খালের দুই পাড় সিসি ব্লক ও জিও টেক্সটাইল দিয়ে বাঁধানো হয়। সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় খালের এক পাড়ে নির্মাণ করা হয় হাঁটাচলার জন্য ওয়াকওয়ে। মাঝে মধ্যে পথচারীদের বসার জন্য নির্মাণ করা হয় আরসিসি বেঞ্চ।
এখন, ওয়াকওয়ের ব্রেঞ্চগুলো এতটাই ময়লা যে সেখানে বসার অবস্থা নেই। এ ছাড়া খালের অবস্থা একেবারেই নাজুক।
খালটির পাশেই ডিসির কার্যালয়, জেলা আদালত, মুক্তিযোদ্ধা শিশুপার্ক, সরকারি স্কুল-কলেজ এবংডিসি, এসপির বাসবভনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা । খালের পাশে প্রশাসনিক এত আয়োজন অথচ খালটির দুর্দশা কাটছে না। এমন মন্তব্য শহরের অনেকের।