ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্রাম্য সমস্যার সমাধান করে প্রশংসা কুড়িয়েছে চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভুঁইয়া

যুগের কথা ডেস্ক
নভেম্বর ২৩, ২০২১ ৯:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্থানীয় বিচারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও তৃণমূল পর্যায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সব শ্রেণীর মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশে গ্রাম আদালত গঠনের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার।
স্থায়ী সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন পাস হয়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে সহযোগিতা করছে ওয়েব ফাউন্ডেশন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা ও ১১টি থানায় ৮৩টি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের কার্যক্রম চলমান।
সেই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নের গ্রামের মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হচ্ছে এই গ্রাম আদালতেই। ইউপি চেয়ারম্যান এবং দুজন মেম্বারসহ মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে এই গ্রাম আদালত গঠিত হয়। এছাড়াও বাদী-বিবাদীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন করে গ্রাম্য প্রধান এ আদালতের সদস্য হিসেবে থাকেন। গ্রাম আদালত বিভিন্ন দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। এই ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের সক্রিয়তা অনুসন্ধানে জানা যায়, শুনানি করে বিচার নিষ্পত্তির দিক দিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন সকল ইউনিয়নের মধ্যে এগিয়ে গেছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও কাওয়াকোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম ভুঁইয়া।
কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে গত ৫ বছরে তার ইউনিয়নের জনগণের ২০৬টি ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার সমস্যা সমাধান করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। যা সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সচলভাবে পরিচালিত হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন করমজা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ছোটখাটো বিরোধ নিরসনে জেলা-উপজেলার আদালতে আসার সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। চলতি বছর উপজেলার গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে সহস্রাধিক মামলা। বিচারপদ্ধতি সহজ ও ভোগান্তি থাকায় উকিল মোক্তারের পরিবর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থা রাখছেন ইউনিয়নবাসী। অল্প সময়ে-স্বল্প খরচে স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট বিরোধ নিষ্পত্তি গ্রাম আদালতের মূল লক্ষ্য। তাইতো এ ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে গ্রাম আদালত।
বিশেষ করে বিবাহবিচ্ছেদের সমস্যা সমাধানে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে স্থানীয় এই আদালত। প্রতি বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে গ্রাম আদালত অনুষ্ঠিত হয়। এই আদালতে বাদী ও বিবাদী শব্দের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় আবেদনকারী ও প্রতিবাদী শব্দ দুটি। উভয় পক্ষের বক্তব্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণাদির ভিত্তিতে গ্রাম আদালত শুনানির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইউনিয়নের প্রতিটি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছেন। গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে এলাকার সৃষ্ট বিরোধ মিমাংসা করে আসছেন চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভুইঁয়া।
জানা যায়, কাওয়াকোলা ইউনিয়নের দূর্গম চরে কৈগাড়ী, দোরতা, কাটাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামের চলাচলের রাস্তা পাকাকরণ, ড্রেন নির্মাণ, হাটের শেড, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করেছেন। যার সুফল ভোগ করছেন জনসাধারণ। সমাজের অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়ার জন্য অটিজম স্কুল স্থাপন করেছেন। বাল্য বিবাহরোধে প্রতিনিয়ত মনিটরিং, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ওয়ারিশান সনদপত্র, নাগরিক সনদপত্র, অভিভাবকের আয়ের সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন, হেল্প ডেক্সের মাধ্যমে জনগণকে সেবা সম্পর্কে অবগত ও সহায়তা করা, দরিদ্র নারীদের সহায়তার জন্য নিয়মিত সেলাই মেশিন বিতরণ, ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দকৃত জিআর চাল, নগদ অর্থ, গৃহ নির্মাণের ঢেউটিন, শীতবস্ত্র, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, পুষ্টিকর খাবারসহ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন, এছাড়াও যতœ প্রকল্পের আওতায় হাজার হাজার শিশু ভাতা পাচ্ছেন।
কাওয়াকোলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাট বয়ড়া চরের কৃষক হুরমুর আলী ও একই গ্রামের ইযু মোল্লা গং এর মধ্যে ২৫ শতাংশ জমিজমা নিয়ে বিরোধ হয়। প্রথমে স্থানীয় মাতবরদের কাছে সমাধান চেয়ে আবেদন করেন, কিন্তু কোনো সমাধান পায়নি। পরে স্থানীয় কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদে ২০ টাকা দিয়ে গ্রাম আদালতের কাছে সুষ্ঠু বিচারের জন্য আবেদন করেন। গ্রাম আদালতে দুই পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শুনানি হয়। সেখানে তিনি ন্যায়বিচার পান এবং তার জমি তিনি ফিরে পান বলে এ প্রতিবেদককে জানান কৃষক হুরমুর আলী।
কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভুঁইয়া বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ছোট ছোট বিরোধ হলে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে বা থানায় না গিয়ে আমাদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দিচ্ছেন এবং অল্প খরচে, স্বল্প-সময়ে ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। আমরা আলাপ-আলোচনা করে কাগজ দেখে সুষ্ঠু সমাধান দেই। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষ এই গ্রাম আদালতের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। এছাড়াও ফৌজদারি মামলা একবারে নাই বললেই চলে, তা ছাড়া অন্যান্য বহু মামলা আমরা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করে দিচ্ছি। যদিও বা বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়। কারণ কখনো কখনো সপ্তাহে ৫-৭ টি বিচার করতে হয়। তবুও সবার সমস্যা সমাধান করে দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমি ২০১৬ সালে ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে থেকে ইউনিয়নে বহু উন্নয়ন মূলক কাজ করে আসছি। বর্তমানে মাদক, জুয়া, বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমি আশা করছি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানণীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলে এবং আমার প্রিয় কাওয়াকোলা ইউনিয়নবাসী আবারও আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ দিবেন ইনশাআল্লাহ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।