নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক সহকারী শিক্ষকের ১৩ তম উচ্চতর গ্রেড (উন্নীত স্কেল) না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক সহকারী শিক্ষকের ১৩ তম উচ্চতর গ্রেড না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষকরা ওই গ্রেড পেলেও নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগন ওই সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
কিছু শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষন অফিসের নানা জটিলতার কারনে ১৩তম উচ্চতর গ্রেড তারা পাচ্ছে না যার কারনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাউয়ুমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিনিধিকে বলেন, ১৩তম গ্রেড এর ব্যাপারে কোন জটিলতা নেই চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা এম.এম জাহেদুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ১৩তম উচ্চতর গ্রেড এর ২৪টি বই ইতি মধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা অফিস থেকে বই পাঠালে অনুমোদন দেওয়া যাবে।
উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: আনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ১৩ তম উচ্চতর গ্রেডের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস সহকারী ২শ করে টাকা দাবি করেন, এতে কোন শিক্ষক সাড়া দেয়নি যার জন্য ১৩ তম গ্রেড এর কোন কাজ করেনি।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি এস,এম মামুন আলম বলেন, সহকারী শিক্ষক’রা উপজেলা শিক্ষা অফিসে ঘুরে অনেক হয়রানি হয়েছে শিক্ষা অফিসার নানা অজুহাত তুলে ১৩তম গ্রেড এখনো দেয়নি।