ঢাকাশনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালো তালিকা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না ছাপাখানার অনিয়ম 

যুগের কথা ডেস্ক
ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ৮:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা অফিস : চুক্তি ভঙ্গের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেও ঠেকানো যাচ্ছে না ছাপাখানার অনিয়ম। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) আইনের ফাক গলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নাম বদলে পাঠ্যবই ছাপার কাজ করছে। এই অনিয়মের জন্য বোর্ডের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন শিক্ষাবিদরা।

চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে বই সরবরাহ না করা, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপা, আর্থিক অসঙ্গতিসহ বেশকিছু অনিয়মের কারণে এবার ১০টি ছাপখানাকে স্থায়ীভাবে কালো তালিকাভুক্ত করে এনসিটিবি। দেরিতে বই সরবরাহ করায় আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়। তারপরও থেমে নেই অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। ভিন্ন নামে টেন্ডারে অংশ নিয়ে পাঠ্যবই ছাপার কাজ বাগিয়ে নিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর সুত্রাপুরের রেজা প্রিন্টার্সও রয়েছে। কালো তালিকাভুক্ত থাকায় প্রতিষ্ঠানটি এবার সেদনা প্রিন্টার্স নামে বই ছাপার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। রেজা প্রিন্টার্সের ঠিকানায় যেয়ে দেখা যায়, ছাপাখানাটির সামনে এখন কোনো সাইনবোর্ড নেই। তবে ভেতরের কাগজপত্রে এখনো রেজা প্রিন্টার্সের নাম। যদিও এ ছাপার কাজ চলছে সেদনা প্রিন্টার্সের নামে।

প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. লাভলু মিয়া দাবি করেন, চলতি বছরই প্রেসটি কিনেছেন তিনি। তবে ছাপাখানায় রেজা প্রিন্টার্সের হিসাবের খাতা কীভাবে রইল, তার সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়োরম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলছেন, যেকোনো অভিযোগই আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা যে টেন্ডার কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করি, সেটা সরকারের ক্রয় নীতিমালার ভিত্তিতেই করে থাকি এবং সে আলোকেই বিভিন্ন মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি-বিচ্যুতি বা অপরাধ থাকলে কালো তালিকাভুক্ত করি। তবে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই।

এদিকে ছাপাখানাগুলোর অনিয়ম বন্ধে এনসিটিবিকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ শিক্ষাবিদদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলছেন, যারা এমন অনিয়ম করবে, তাদের ধরা খুব কঠিন কাজ নয়। একটু খোঁজখবর রাখলেই তাদের চিহ্নত করা যায়।

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদও বলছেন একই কথা। তিনি বলেন, এনসিটিবি যদি যথাযথভাবে নজরদারি করে, তাইলেই অভিযুক্তদের চিহ্নত করা সম্ভব। এখনই ব্যবস্থা নিতে না পারলে শিক্ষা খাতের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।