ঢাকাসোমবার , ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অবৈধ ভাবে পুকুর খননে জলাবদ্ধতায় দিশেহারা কৃষক

এম মামুন হুসাইন
ডিসেম্বর ১৬, ২০২১ ৯:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তাড়াশে অধরাই থেকে গেল তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননের কাজ। গত কয়েক বছরে প্রায় ৩হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে। কৃষি জমির শ্রেনী পরিবর্তন না করেই একের পর এক পুকুর খনন কাজ অব্যহত রয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের ফলে ওই সব মাঠের পানি নিস্কাষনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্ঠি হয়েছে।
ফলে ওই সকল মাঠে জলাবদ্ধতার কারনে কৃষক জমিতে কোন ফসল আবাদ করতে পারছেন না। এলাকার প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সরকারী নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে পুকুর খনন করেই চলছে। এতে একদিকে যেমন কৃষি জমি ক্রমশেই কমে যাচ্ছে তেমনি ভাবে জলাবদ্ধতার কারণে শতশত বিঘা জমি অনাবাদি ভাবে পরে থাকছে।
৩ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে কোন চাষাবাদ না করতে পেরে কৃষক দিশেহারা হয়ে পরছে। এ বিষয়ে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া, মাটিয়া-মালিপাড়া গ্রামের প্রায় ৩শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষক প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী অফিসারসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ প্রকাশ, নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া, মাটিয়া ও মালিপাড়া গ্রামের মৌজায় প্রতিটা কৃষকের নিজস্ব আবাদী জমি রয়েছে। কৃষক তাদের ৩ ফসলী জমিতে চাষাবাদ করে সংসার পরিচালনাসহ সন্তানদের পড়াশোনার খরচ বহন করে থাকে। এছাড়া পুকুর খনন করতে গিয়ে তারা ব্রীজের মুখ বন্ধ করে পানি নিস্কাষনের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। যেখানে সরকারী ভাবে পানি নিষ্কাষনের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ব্রীজ নির্মান করে ছিল। অথচ পুকুর খননকারীরা ওই ব্রীজের মুখ বন্ধ করতে পিচুপা হয়নি।
অভিযোগকারী ওই সব গ্রামের মাঠের পানি নিস্কাষনের একমাত্র পথ মাজার রোডের মাটিয়া গ্রামের পুকুরপাড়ের পাশে একটি ব্রীজ রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে মালিপাড়া গ্রামের শাহিনুর ইসলাম সুরুজ, বেশ কয়েকটি পুকুর খনন করে ব্রীজে মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ওই সব মাঠের পানি ব্রীজ দিয়ে প্রবাহিত হতে না পেরে ফসলি জমি গুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে একই এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে শওকত আলী ব্রীজ সংলগ্ন অবৈধভাবে পুকুর খনন শুরু করছে। এখন যদি পুকুর খনন কাজ বন্ধ না করা হয় তাহলে এই তিন গ্রামের কৃষকের প্রায় ৫শতাধিক বিঘার আবাদি জমি একেবারে স্থায়ী ভাবে জলাবদ্ধতা দেখা দিবে। ফলে ওই সব এলাকার কৃষক তাদের জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে কোন ফসল ফলাতে পারবেন না। এতে কৃষকের অপুরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এলাকার কৃষকরা জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে এবং তা অব্যহত রয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে পুকুর খননের প্রবণতা বেড়েই চলছে। উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত তাড়াশের বিভিন্ন মাঠে অপরিকল্পিত ভাবে প্রায় ৩হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে। তবে সম্পুর্ন পুকুর খনন বিষয়ে হালনাগাদ কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। ফলে অধরাই থেকে যাচ্ছে তাড়াশে অপরিকল্পিত ভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খননের কাজ। আর এসব পুকুর খননের মাটি ট্রলিতে করে নেওয়া হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ইটভাটায়। গাড়ি থেকে কাদামাটি রাস্তায় পরে কদামাক্ত হচ্ছে রাস্তা। এ কারণে সড়ক দূর্ঘটনা বেড়ে চলছে।
মালিপাড়া গ্রামের জব্বার আলী, আব্দুল লতিফ, জয়নাল আলীসহ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, তিন থেকে চার বছর ধরে আমাদের মাঠে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে গেছে। এখন অবৈধ ও অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন বন্ধ না করলে আমাদেরও মত অন্যান্য কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কৃষকদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।