যুগের কথা প্রতিবেদক : দ্বিতীয় দিনেও সিরাজগঞ্জ জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে। কর্মবিরতি রেখে বার কাউন্সিলের হল রুমে অবস্থান করছেন আইনজীবিরা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুর রউফ পান্না।
তিনি জানান, আইনজীবিকে মারপিটের বিচার ও জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার নেশাখোর, চাঁদাবাজ ও ঘুষ খোর ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞ কোর্টের কার্যক্রমে উপস্থিতি হবে না আইনজীবিরা।
সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুর রউফ পান্না আরও বলেন, ইতি মধ্যেই আমরা চার দফা দাবি ঘোষনা দিয়েছি। এই দাবি না মানলে আমারও কঠিন অবস্থানে যাবো।
চার দফা দাবি, (১) নেশাখোর, চাঁদাবাজ, ইউসুফ আলীকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি। (২) যতক্ষন পর্যন্ত ইউসুফকে গ্রেফতার করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কোর্টে কোন আইনজীবি অংশ গ্রহণ করবে না। (৩) যারা কোর্টে এবং বিভিন্ন অফিস কক্ষসহ সকল এজলাসে তালা লাগিয়ে সরকারী কাজে বিঘœ ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহী মামলা করা হোক। (৪) কোর্ট চত্বরে ঘুষ দুর্নিতী বন্ধ করা হোক।
প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলীর সাথে এ্যাডভোকেট আবুল কালামের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার সকালে কোট ও বিভিন্ন অফিস কক্ষসহ সকল এজলাসে তালা ইউসুফ আলীর লোকজন। এরই প্রতিবাদে জেলা আইনজীবি সমিতির সকল সদস্যরা কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করে আদালত বর্জণ করে।