যুগের কথা প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদল নেতা আলী আকবর খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ওসি গোলাম মোস্তফা শুক্রবার সকালে জানান, হত্যাকাণ্ডের একদিন পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিহতের স্ত্রী হাসি খাতুন বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলাটি দয়ের করেছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আসামিরা হলেন- সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম (৪২), জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ও মুলিবাড়ির বাসিন্দা মো. পথিক (৩৫), সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুলিবাড়ির বাসিন্দা রিগেন তালুকদার (৪০), সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুলিবাড়ির বাসিন্দা স্বাধীন (৩০), ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বড়সারটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজ মোল্লা (৩৮), ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরসারটিয়া গ্রামের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন (৩৬), মুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগকর্মী সুজন (৩০) এবং পাশের রাজাপুর ইউনিয়নের মাইঝাইল মুন্সীবাড়ির বাসিন্দা লিটন (৪২)।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নবীদুল ইসলাম বলেন, আলী আকবর হত্যাকান্ডের পর বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্র“য়ারী) ঢাকায় এক সংবাদ সন্মেলন করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, বুধবার রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম ও মাসুদ নিজেদের অস্ত্র দিয়ে সরাসরি গুলি করে যুবদল নেতাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। যে বিষয়টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্যাডে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এবং বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরাসরি মিডিয়ার সামনে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন। নিজেরাই নিজেদের মিথ্যা ও বানোয়াট কথা জালে ফেঁসে গেছে। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এতে প্রমান হয় যে, এঘটনার সাথে আমি বা আমাদের কেউ জড়িত নেই। আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত করলে অপরাধী বেরিয়ে আসবে।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে শুনেছি কিন্তু আমি এবিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, “রুহুল কবির রিজভী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যাচার করেছেন। যুবদল নেতা আলী আকবর পরকীয়ার কারণে খুন হয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত অপরাধী বেরিয়ে আসবে। রিজভী বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে মামলার হুমকি দেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
উল্লেখ্য, সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক আলী আকবরকে (৪৩) বুধবার সন্ধ্যার পর রান্ধুনীবাড়ি হাটখোলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আলী আকবর সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড় সারটিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলছে।