ডায়াবোটিস আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শিশুরাও এখন রেহাই পাচ্ছে না এই রোগ থেকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জরুরি হল জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনা। কেবল ওষুধ খেলেই চলবে না না। এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের এমন খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। প্রত্যেকটি মানুষের খাদ্যতালিকায় ফল রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ফলের মধ্যে থাকা খনিজ ও ভিটামিন শরীর ভালো রাখতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্তের ক্ষেত্রেও ফল খাওয়া ভীষণ জরুরি। সে ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার আগে দেখে নিতে হয় সেই ফল খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে কি না।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি আপেল খেতে পারেন?
আপেল ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি ফল। আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তেমন বেশি নয়। চাইলে ডায়াবেটিস রোগীরা আপেল খেতেই পারেন। তবে দিনে একটি বা দু’দিনে একটি চলতে পারে, তার বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই এক বার পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপেল খেতে হবে খোসা শুদ্ধ। আপেলের খোসায় ভালো মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এ ছাড়া আপেলে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকে, যা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপেলের মধ্যে থাকা পেকটিন উচ্চ রক্তচাপ কম করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি আপেল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয় একেবারেই। তবে গোটা ফলের পরিবর্তে আপেলের রস খাওয়া ঠিক নয়।
কোন ফল খাওয়া যাবে না?
যেই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, ডায়াবেটিস রোগীদের সেই ফল খাওয়া চলবে না। এই ফলগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে কলা, আঙুর, আম, লিচু এড়িয়ে চলুন।
কোন ফল খাওয়া যাবে?
যেই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ থাকার পাশাপাশি ফাইবার রয়েছে সেই ফল খেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শসা, নাশপাতি, বেরি সীমিত মাত্রায় খেতে পারেন।