চীনাবাদাম স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। এতে নানা রকম খনিজ, প্রোটিন ছাড়াও ভালো পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে। অনেকেই ক্ষিদে পেলে মুঠো মুঠো চীনাবাদাম খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিমিত বাদাম খেলে যত উপকার পাওয়া যায় বেশি পরিমাণে খেলে উল্টো ফলও হতে পারে। যেমন-
১.চীনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে যা শরীরে ফাইটেট হিসেবে জমা হয়। কিন্তু খুব বেশি ফাইটেট শরীরে গেলে আবার তা আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো কিছু জরুরি খনিজ শরীরে রাখতে দেয় না। দীর্ঘ দিন এ ভাবে চললে শরীরে জরুরি পুষ্টির অভাব হতে পারে।
২. চীনাবাদাম দ্রুত মন ঝরঝরে করে। দামও কম। কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরিও থাকে। ফলে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
৩. যাদের বাদামে অ্যালার্জি, তাদের কম পরিমাণে খেলেও শরীরে নানা রকম গোলমাল দেখে দিতে পারে। সেগুলি কখনও কখনও ভয়ঙ্করও হয়ে উঠতে পারে। তাই বাদাম খাওয়ার আগে বুঝে নিতে হবে আপনার তেমন কোনও সমস্যা হতে পারে কি না।
কতটা বাদাম এক দিনে খাওয়া উচিত?
যদি রোগা হতে চান তা হলে বারবার ক্ষুধা পেলেই মুঠো মুঠো বাদাম খাওয়া যাবে না। সারা দিনে এক মুঠো বাদামই যথেষ্ট। পিনাট বাটার খেলে তা দিনে দুই টেবিল চামচের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
কখন খাওয়া সবচেয়ে ভালো?
বিকেলের দিকে খিদে পেলে বাদাম খাওয়া ভালো। এতে ক্ষুধাও মেটে এবং শরীরও ঝরঝরে হয়।