ঢাকাশনিবার , ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিরাজগঞ্জে মিঠু হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন।

শাহিন রেজা
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যুগের কথা প্রতিবেদক  :
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পৌর এলাকার রায়পুর রেলওয়ে কলোনির মোসলিম উদ্দিনের ছেলে মিঠু (২৪) হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

রবিবার (২০) ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন মুক্তিশোপান চত্তরে সিরাজগঞ্জ জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ ভূমিহীন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মেরাজ মোল্লা সভাপতিত্বে

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি আব্দুল হাই তালুকদার,সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার ভূইয়া,আহ্বায়ক নব কুমার কর্মকার,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন,ভূমিহীন আনন্দলন জেলা শাখার সহ সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন,রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ খান, শ্রমিক জোটের নেতা জাকির হোসেন, থানা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,পৌর জাসদের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল এহসান বিপলপ,নিহত মিঠুন বোন মুনি,ভগ্নিপতি ফারুক সহ এলাকার সকল স্তরের জনসাধারণ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত মানববন্ধনে মিঠুর (বোন) মুনি বলেন,গত বুধবার সকালে আমার ভাই,সিরাজগঞ্জ থেকে নরসিংদীর উদ্দেশে বের হয়,তারপর রাত আটটার দিকে আমার ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপু কয়েকজন লোক আমাকে আটক করেছে, তারা ১লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে তাছাড়া আমাকে মেরে ফেলবে।তখন আমি ৯৯৯ এ ফোন দেয় তারা আমাকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় যেতে বলে আমি তখন সদর থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়রি করি তারপর রাত ১২টা পযন্ত আমি থানায় থাকি তখন প্রশাসনের সামনে আমার ভাই আবার আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপু আমাকে বাঁচাও এই বলে কান্নাশুরু করে তারপরেও তাঁরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি আজ আমার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য সিরাজগঞ্জ সদর থানা দায়ী।

তারপরেও আজ তিনদিন পার হয়েগেলেও  আমার ভাইয়ের হত্যাকারিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।

আমার ভাইয়ের হত্যাকারিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

 

উল্লখ্য,নিহত মিঠু সিরাজগঞ্জ সদরের রায়পুর রেলওয়ে কলোনি এলাকার মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জের ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে শাড়ির ব্যবসা করতেন।

বাবুরহাটের শাড়ি সম্পর্কে ধারণা নিতে প্রথমবারের মতো নরসিংদীতে গিয়েছিলেন। ফেসবুকে পরিচয় হওয়া দুই বন্ধুর ভরসায় নরসিংদীতে যাবার পর অপহরণের পর হত্যার শিকার হন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের হুগোলিয়াপাড়া এলাকার রূপচান মিয়ার খড়ের পালার পাশে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মিঠু হোসেনের বড় বোন মিনু আক্তার বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মিনু আক্তার জানান, বাবা ছয় মাস আগে মারা গেছেন। মা-ও দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। বাবার মৃত্যুর পর থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে শাড়ির ব্যবসা করে সংসার চালাতেন মিঠু। স্থানীয় বিভিন্ন হাট থেকে শাড়ি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করলেও নরসিংদীর বাবুরহাটের কাপড় বিক্রির ইচ্ছা ছিল তার। এ জন্য গত বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় পৌঁছার পর সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দুপুরের খাবার খায়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরসিংদী পৌঁছে আমাদের কাছে কল করে ঠিকঠাক পৌঁছনোর খবর জানায়। তবে নরসিংদীতে ঠিক কাদের কাছে সে গিয়েছিল, তা আমরা জানতাম না। ‘
থানার অভিযোগে বাদী মিনু আক্তার জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে মিঠু ফোন দিয়ে জানান, কয়েকজন লোক তাকে অপহরণ করেছে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। অপহরণকারীরা মিঠুকে মারধর করে তাদের দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে দ্রুত টাকা পাঠাতে বলে। নইলে তারা মিঠুকে মেরে ফেলবে। তখন অপহরণকারীদের একজন ফোনটা ধরে বলে, ‘আপনারা এই মুহূর্তে যদি এক লাখ টাকা পাঠান, তাহলে আপনার ভাইকে আমরা ছেড়ে দেব। ‘মিনু আক্তার তাঁকে বলেন, ‘এখন তো রাত প্রায় ৮টা বাজে, এই সময় তো কারো কাছে টাকা চেয়ে পাব না, একটু সময় দিন, আমি টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। ‘
মিনু বলেন, ‘রাত ১২টা পর্যন্ত অন্তত ৫০ বার মিঠুর ফোনেই অপহরণকারীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ফোনে কথা বলার পুরোটা সময় মারধর ও মিঠুর কান্নার শব্দ শুনেছি। এর পরই সিরাজগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ‘
তিনি আরো বলেন, “একই রাত ১১টার দিকে মিঠু ফোন করে মাকে জানায়, ‘তোমরা তো টাকা দিতে পারলে না। অপহরণকারীরা মনে হয় আমাকে মেরে ফেলবে। কোনো ভুল করে থাকলে ক্ষমা করে দিও। ‘এ সময় অজ্ঞাত ব্যক্তি তার হাত থেকে মুঠোফোন নিয়ে আমাকে বলে, ‘যেহেতু টাকা দিতে পারিসনি তাই তোর ভাইকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি না। আগামীকাল তোর ভাইয়ের লাশ খুঁজে নিস।’ একথা বলে মুঠোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মিঠুর খোঁজে মা এবং নানিকে নিয়ে নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা হই। সকাল ১০টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মিঠুর মুঠোফোন থেকে আবারও কল দিয়ে পুনরায় মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় তিনি মিঠুর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অপহরণকারী বলে, ‘আগে টাকা দেন তারপর ভাইয়ের সাথে কথা বলেন। ‘এ কথা বলে আবারও মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জের পরিচিত এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারি মনোহরদী উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ খবর পেয়ে রাত ১২টায় মনোহরদী থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের মুঠোফোনে ছবি দেখে মিঠুর লাশ শনাক্ত করা হয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।