ঢাকাশনিবার , ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উল্লাপাড়ায় বল সুন্দরী চাষে সফল শিক্ষক নজরুল 

যুগের কথা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শাহিন রেজা :

সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষে সাফল্য পেয়েছেন  শিক্ষক নজরুল ইসলাম। এবার তার বাগানে বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে।  এ বছর প্রায় এক লক্ষ  টাকার বরই বিক্র হওয়ার আশা করছেন তিনি।
নজরুল সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়া উপজেলা বাগধা গ্রামের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ পুলিশ সাইন্স স্কুলে ২০১২সালে থেকে  শিক্ষকতা শুরু করেন।করোনা কালীন সময় স্কুল বন্ধ থাকায় তিনি পাঁচ হাজার টাকার ১২০টি বরইয়ের চারা কিনে এক বিঘা জমিতে চাষ করেন।
বাগান তৈরি থেকে বরই উৎপাদনে দু’বছরে তার খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা।প্রথম বছরেই প্রতিটি গাছে ৭ থেকে ৮ কেজি বরই ধরে এবং ৩৭ হাজার টাকার বরই তিনি প্রথম বছরেই বিক্রি করেন।এ বছর তার প্রতিটি গাছে ৩০থেকে ৪০কেজি বরই এসেছে।
সরেজমিনে নজরুলের বরই বাগানে গিয়ে দেখা যায়, মাটির সামান্য ওপর থেকেই বল সুন্দরী ও কাশ্মীরী আপেল কুল গাছের ডালপালা চারদিক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি ডালে প্রচুর পরিমাণে বরই  ধরেছ প্রতিটি ডাল মাটিতে নুয়ে পড়ছে।যেটি দেখতে সুন্দর আবার খেতেও খুব মিষ্টি এবং সুস্বাদু । পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা তার বাগানে এসে বরই কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এবং প্রতি কেজি বরই ৪০ থেকে ৫০টাকা বিক্রি করছেন।
বাগানের মালিক শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, বরই গাছের প্রতি আমার প্রথম ভালোবাসা শুরু হয় সিরাজগঞ্জের ইঞ্জিনিয়ার আসাদুল ভাইয়ের বরই বাগান দেখে।সেখান থেকেই আমি বাগান করার উদ্যেগ নেই।পরবর্তীতে পাঁচ  হাজার টাকা দিয়ে  বল সুন্দরী ও কাশ্মীরী আপেল কুলের ১২০পিছ চারা
 কিনে এক বিঘা জমিতে লাগায় এবং পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে বরই বাগানে  বেড়া দেয়। এছাড়া আনুষাঙ্গিক ২ হাজার টাকা খরচে মোট ১২হাজার টাকা খরচ হয়।প্রথম বছরেই আমার খরচের টাকা উঠে যায়। এ বছর প্রায় ১লক্ষ টাকার বরই বিক্রি করার আশা করছি। বরই বাগান ছাড়াও আমার আরো এক একর জমিতে লেবুর বাগান করা আছে যেখান থেকেও আমি অনেক সফলতা পেয়েছি।
তিনি আরো জানান, বরই বাগান দেখাশোনার জন্য তেমন কোন লোকের প্রয়োজন হয় না।বছরে দুই একবার পরিচর্যা করতে হয়।যা নিজেরাই করা যায়।এবং বরই  বড়ো হলে তখন দেখাশোনার জন্য একজন লোকের প্রোয়জন হয়।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি বলেন,এবার উল্লাপাড়া উপজেলায় প্রায় ২ হেক্টর জমিতে বরই চাষ করা হয়েছে।যারা বরইয়ের বাগান করেছে তাদের আমাদের কৃষি অফিসের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে  পরিচর্যা করার পরামর্শ দিয়ে থাকি। আর তাদের মধ্যে যারা ভালো উদ্যোগতা রয়েছে তাদেরকে আমরা কোন প্রদর্শনী কিংবা অন্যকোন সহযোগিতার দরকার হলে দিয়ে থাকি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।