সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধার পর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। এর আগে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে তারা জামিনের আদেশ পান।
জামিন প্রাপ্তরা হলেন, জেলা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি মজিবর রহমান লেবু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, শ্রী অমর কৃষ্ণ দাস, জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া সেলিম, যুগ্ম -সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, মুন্সি জাহেদ আলম, লিয়াকত আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরকার রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা যুব দলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ, জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মোরাদুজ্জামান মুরাদ, সহ-সভাপতি মেনহাজুল আবেদীন মেন্না, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন, সদর উপজেলা যুব দলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বরাত, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আলম, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সানোয়ার হোসেন সানু জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
জামিন প্রাপ্তদের স্বাগত জানিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন নেতাকর্মীরা। মোটর সাইকেল শোভাযাত্রাটি শহরের এসএস রোড দিয়ে ইবি রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বিএনপির শান্তি পূর্ণ সমাবেশে হামলা করলো অথচ পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জেলে পাঠালো এই অন্যায়ের বিচার একদিন হবে ইনশাআল্লাহ। ভোট বিহীন অবৈধ ফ্যাসিবাদী এই সরকারের বিরুদ্ধে সামনে যে আন্দোলন আসবে সেই আন্দোলন সিরাজগঞ্জ থেকেই বেগবান করা হবে।
প্রসঙ্গ: গত ১৩ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নাশকতার মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জামিনের আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠান। পরে ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার মহামান্য হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে জামিন মঞ্জুর করেন।