ঢাকাশুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈদ বাজারে জালনোট চিনবেন যেভাবে

যুগের কথা ডেস্ক
এপ্রিল ১৪, ২০২২ ৩:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যুগের কথা ডেস্ক :
ধর্মীয় কোনো উৎসব বা বিশেষ দিনে অর্থ লেনদেনের হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। আর এই বাড়তি লেনদেনের সুযোগ নেই একটি চক্র। এ সময় তারা বাজারে ছাড়েন জালনোট। আসল টাকার সঙ্গে জালনোট এক হাত থেকে আরেক হাত ঘুরে বেড়ায় নিজের অজান্তেই।

আর এসময়ে কারবারিরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ মানুষ। তাই অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জালনোট বিষয়ে আমাদের প্রথমেই মনে রাখা জরুরি, জালনোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। আসল টাকার নোটে ‘বাঘের মাথা’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ থাকে যা উভয়ই আলোর বিপরীতে দেখা যাবে।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আসল ব্যাংক নোট চিনতে ও জাল নোট প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান মাসে ৫৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-সংবলিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে জাল টাকার ভোগান্তি কমাতে পাঠকদের জন্য থাকছে এই প্রতিবেদন। কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে আপনি সহজেই জাল টাকা শনাক্ত করতে পারবেন। জাল নোট বিষয়ে আমাদের প্রথমেই মনে রাখা জরুরি, জালনোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। আসল টাকার নোটে ‘বাঘের মাথা’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ থাকে যা উভয়ই আলোর বিপরীতে দেখা যাবে।

একশ টাকা, পাঁচশ টাকা ও এক হাজার টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটেই মূল্যমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সংবলিত নিরাপত্তা সুতা থাকে। জালনোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। সাধারণত- ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট বেশি জাল হয়।

এক্ষেত্রে দেখতে হবে টাকায় থাকা নিরাপত্তা সুতা, রং পরিবর্তনশীল কালি, অসমতল ছাপা, জলছাপ ইত্যাদি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। নোটের সামনে ও পেছন দুদিকের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান ও ৭টি সমান্তরাল সরল রেখা উঁচু নিচুভাবে মুদ্রিত থাকে। ফলে হাত দিলে একটু খসখসে মনে হয়।

জাল নোট চিনবেন যেভাবে :

১. ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকাসহ প্রত্যেক ধরনের নোটের সামনে ও পেছন দুদিকের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান ও ৭টি সমান্তরাল সরল রেখা উঁচু নিচুভাবে মুদ্রিত থাকে। ফলে হাত দিলে একটু খসখসে মনে হয়।

২. নোটের ডান দিকে ১০০ টাকার ক্ষেত্রে তিনটি, ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে ৪টি ও এক হাজার টাকার নোটে ৫টি ছোট বৃত্তাকার ছাপ আছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু নিচু লাগে। এ বৈশিষ্ট্য জালনোটে সংযোজন করা সম্ভব নয়।

৩. জালনোটের জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ আছে। যা ভালো করে খেয়াল করলে আলোর বিপরীতে দেখা যায়।

৪. প্রত্যেক মূল্যমানের নোটেই বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সংবলিত নিরাপত্তা সুতা থাকে। নোটের মূল্যমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে মুদ্রিত থাকে।
এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত যা নোটের কাগজের সঙ্গে এমনভাবে সেঁটে দেওয়া থাকে যে নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সুতা কোনোভাবেই উঠানো সম্ভব নয়। নকল নোটে এতো নিখুঁতভাবে সুতাটি দিতে পারে না।

৫. ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের উপরের ডানদিকে কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত থাকে। ফলে ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট ধীরে ধীরে নড়াচড়া করলে মূল্যমান লেখাটি সোনালি থেকে সবুজ রং ধারণ করে। একইভাবে ৫০০ লেখা লালচে থেকে সবুজাভ হয়। অন্যদিকে জাল নোটের ব্যবহৃত রং চকচক করলেও তা পরিবর্তিত হয় না।

৬. প্রত্যেক প্রকার টাকার নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান প্রতিকৃতির তুলনায় উজ্জ্বল দেখায়। জাল নোটে এসব বৈশিষ্ট্য থাকে না।

৭. এছাড়া স্বল্পমূল্যেও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জালনোট শনাক্তকারী মেশিন আছে। ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে জাল নোট সহজেই পরীক্ষা করা যায়। জালনোট ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে শুধু একটা রেখা দেখা যাবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।