বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খোকশাবাড়ী গ্রামে অবস্থিত ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মানাধীন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এ সময় অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্বাবধানে পরিচালিত সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দশমিক ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সকল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে গৃহ নির্মাণ কার্যক্রমকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত ও নির্মাণাধীন গৃহসমূহের গুনগত মান ঠিক আছে কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তিনি খোকশাবাড়ী গ্রামে অবস্থিত আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে আরো অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশুকাতে রাব্বি, সদর উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা রবিন শীষ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম রশিদ মোল্লা, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল আমিন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেলসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
আক্তার হোসেন, কহিনুর বেগম, আলেয়া বেগম, মাজেদা বেগম, শহিদুল ইসলামসহ আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়া সুবিধাভোগিরা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের বাড়ি পেয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন স্বপ্ন আর খুশির ঝিলিক। পাকা ঘর পেয়ে আমরা সবাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশুকাতে রাব্বি জানান, আগামী ২৬ এপ্রিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যম আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় খোকশাবাড়ী গ্রামে অবস্থিত ৪৪টি ঘর উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরো জানান, এর আগে আশ্রয়ণ-১ প্রকল্পের আওতায় খোকশাবাড়ী গ্রামে ২২২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ২২২টি ঘরে ভূমিহীনরা বসবাস করছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ১০ একর সরকারি খাসজমি দখলমুক্ত করে ৭ একরে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায় ও দ্বিতীয় পর্যায় মিলিয়ে এখানে ২২২টি বাড়ি নির্মাণ করে ইতোমধ্যে তা উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে নির্মিত হচ্ছে আরও ৪৪টি বাড়ি। এর মধ্যে ২১টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি ২৩টি নির্মাণাধীন। তৃতীয় পর্যায়ের ঘরগুলো আগের চেয়ে আরও মজবুত ও টেকসই করে নির্মাণ করা হচ্ছে। এজন্য বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ঘর নির্মাণ শেষে ঈদের পরপরই সেগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হস্তান্তর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া এখানে মসজিদ, খেলার মাঠ ও বিদ্যুৎ সহ শহরের জীবনের সুবিধা পাবে।