যুগের কথা প্রতিবেদক : তাড়াশ টু কুন্দইল সড়কের নিন্মমানের কাজের জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস পর বৃহস্পতিবার তদন্ত করলেন এলজিইডি বগুড়া জোনের সুপারেন্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ গোলাম কবির।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাবের আলী, তাড়াশ এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ এলজিইডি বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলী বৃন্দ। তবে তদন্ত চলাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো লোকজনকে চোখে পড়েনি। রাস্তার কাজের তদন্তের কথা শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসেন তদন্ত স্থলে। এ সময় এলাকাবাসীর জোরালো বক্তব্য তদন্ত কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পায়। সহাদপূর্ণ আচরণে এলজিইডি বগুড়া জনের সুপারেন্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার গোলাম কবির মনোযোগ সহকারে এলাকাবাসীর বক্তব্য শোনেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন রাস্তার কাজের কোথাও কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে এসেছি। এখনই কিছু বলা যাবে না। এখান থেকে যা সংগ্রহ করার তা করেছি এবং এলাকাবাসীর বক্তব্য শুনেছি। ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বোঝা যাবে কাজের অনিয়ম হয়েছে কিনা। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং একপর্যায়ে বলেন আমরাও চাই এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ সঠিক ও সুন্দর ভাবে সম্পুর্ণ হোক। যদি কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকে সে বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এ সময় দিঘীসগুনা গ্রামের অটো রিকশা চালক টিটু, ব্যবসায়ী আতিক, সবুজ, আজিজ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য তাড়াশ কুন্দইল সড়কের দিঘীসগুনা স্কুল পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের কাজের ব্যাপক অনিয়ম স্থানীয় লোকজনের চোখে ধরা পরলে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে এলাকাবসীর তোপের মুখে পরে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় প্রকৌশলীর কর্মকর্তারা ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
এদিকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার ১০দিন পার হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি জেলা ও উপজেলা প্রকৌশলীর কর্মকর্তারা। কাজ বন্ধের কারণ বা কোন তদন্ত না করে আবারো কাজ চালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করে।

গত সোমবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে তাড়াশ উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, এখনো কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে দুই/এক দিনের মধ্যে কার্পেটিং তুলে ফেলা হবে। পুরাতন কার্পেটিং তুলে নতুন করে পাথর বিটুমিন মিশিয়ে সড়কটি মেরামত করা হবে।
তিনি আরো জানান, সিরাজগঞ্জ এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী (আরটিআইপি) সামিউল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী সৌরভ সাহা, ল্যাবটারী টেকনিশিয়ান মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ আসাদ হোসেন (আরটিআইপি) তাড়াশ-কুন্দইল সড়কের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিত থাকা অবস্থায় এই সড়কটির নিম্ন মানের কাজ করেছে ঠিকাদার।
তিনি আরো জানান, সিরাজগঞ্জ এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী (আরটিআইপি) সামিউল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী সৌরভ সাহা, ল্যাবটারী টেকনিশিয়ান মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ আসাদ হোসেন (আরটিআইপি) তাড়াশ-কুন্দইল সড়কের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিত থাকা অবস্থায় এই সড়কটির নিম্ন মানের কাজ করেছে ঠিকাদার।
এই কারণে গত ২২ মার্চ ঠিকাদারের লোকজনের সাথে এলাকাবাসীর সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। সংর্ঘষের কারণে বর্তমানে সড়কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় তাড়াশ ও নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ২৫/৩০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে’।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।