মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষার বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ দশমিক ৪১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন সুত্রে জানা যায়, গত দুদিন যাবত টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে বসত ভিটা ও তাঁত কারখানা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিন দেখা যায়, নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে বসতভিটা। দিশেহারা যমুনা পাড়ের মানুষ। কেউ ঘরের খুটি খুলছে, কেউবা টিনের চাল সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। আর মহিলারা কাপড় চোপড়, বিছানাপত্র ও রান্নার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ স্থানে। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় দফায় দফায় যমুনার ভাঙন হয়েছে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে নদীতে পানি স্থিতিশীল থাকায় ভাঙন বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সোমবার (৬ জুন) দুপুরে যমুনা নদীতে ¯্রােত ও ঘূর্ণ্যাবর্তের সৃষ্টি হয়ে কৃষক আমোদ আলী, আবুল কালাম, রুহুল আমিন, ইদ্রিস আলী, তারা মিয়া ও শাহ আলমের বসত ভিটা ও তাঁত কারখানা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
চৌহালী উপজেলার বাগুটিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জের রুহুল আমিন, ইদ্রিস আলী জানান, আর্কশিক ভাবে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি। ফলে শুরু হয়েছে ভাঙন। এই ভাঙনে আমাদের বেশ কয়েকটি তাঁত কারখানা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। একটি তাঁতও সড়াতে পারি নাই।