বুধবার (২২ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড গেজ রিডার হাসানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৫
সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপরে এবং শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
ইতোমধ্যেই জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, হাটবাজার,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা।
এদিকে, কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার শ্রমজীবীরা।
পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। বন্যা কবলিত এলাকায়
এখনো শুরু হয়নি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ বিতরণ।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, বন্যার্তদের জন্য ৯১১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো বিতরণের জন্য স্ব-স্ব এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা পানি ২৪ ঘন্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এরপর পানি কমবে। এখনো বন্যার আশংকাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। এদিকে, যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার চৌহালী, কাজীপুর, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বন্যায় ভাঙন রোধসহ সকল পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে তারা।