ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাজিপুরে স্কুল মাঠে ঠিকাদার লিটন মিয়ার  চুল্লি, ধোঁয়া

যুগের কথা ডেস্ক
জুন ২৪, ২০২২ ২:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যুগের কথা প্রতিবেদক:

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের পারনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জ্বলছে দুই চুল্লি।

‘এটা এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) কাজ। যেকোনো জায়গায় করা যাবে। অনুমতি কিসের দরকার? আপনারা সাংবাদিকরা যা পারেন লেখেন।’ মুঠোফোনে এমনটি জানান সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া থেকে হরিনাথপুর জিসি রাস্তা মেরামতের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার লিটন মিয়া।

ছয় কিলোমিটার সড়ক মেরামতের এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ কথা জানতে পেরে গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে রাস্তার কাজ দেখে বক্তব্য জানতে চাইলে লিটন ওই কথা বলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেরামতকাজের জন্য বিটুমিন গলানো এবং পাথর গরম করার জন্য ঠিকাদার বেছে নিয়েছেন পারনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। দুপুরে দেখা গেছে, দুটি গাড়ির ওপর বিশেষ চুল্লিতে পাথর গরম করা হচ্ছে এবং বিটুমিন গলানো হচ্ছে। এ সময় মেশিনের ঘর্ঘর শব্দ আর বিটুমিন পোড়ানোর উৎকট গন্ধযুক্ত কালো ধোঁয়া বাতাসে উত্তর পাশে ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ছে। জ্বালানি হিসেবে কয়লার সঙ্গে পুরনো ঝুট কাপড় পোড়ানো হচ্ছে। এ কারণে কালো ধোঁয়া আরো বেশি উদগত হচ্ছে। দুপুরের দিকে বেশি ধোঁয়া বের হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র বলে, ‘আমরা ক্লাসে নাক চেপে ধরে থাকি। আজ তা-ও পারা যাচ্ছে না। তাই টিফিনে বের হয়ে এলাম।’

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুবেল আলম বলেন, ‘বারবার নিষেধ করেছি, তাঁরা শোনেননি। এখানে এমন কাজের বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি ঠিকাদার।’ তিনি জানান, চার দিন ধরে বিদ্যালয়ের মাঠে দুটি যন্ত্র বসিয়ে মিশ্রণ করা হচ্ছে। এতে ব্যাপক কালো ধোঁয়া ও ধুলার সৃষ্টি হচ্ছে। এই কালো ধোঁয়া ও ধুলায় একাকার বিদ্যালয়টি। বুধবার শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে টিকতে পারেনি। বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সমস্যায় ফেলে সড়কের কাজ করা যাবে না। ওখানে যে কাজ করা হচ্ছে, তা আমি জানি না।’

কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া বা না নেওয়া ঠিকাদারের ব্যাপার।’

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানের জায়গায় কাজ করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলে কাজ করা যাবে না। প্রকৌশলী ও শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।