এহেন পরিস্থিতিতে এনডিপি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ৯ মাস (অক্টোবর ২০২০ হতে জুন ২০২১) এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরের পুরো মেয়াদে (জুলাই ২০২১-জুন ২০২২) অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এর আর্থিক সহযোগিতায় “জবংরষরবহপব ঃযৎড়ঁময ঊপড়হড়সরপ ঊসঢ়ড়বিৎসবহঃ, ঈষরসধঃব অফধঢ়ঃধঃরড়হ, খবধফবৎংযরঢ় ধহফ খবধৎহরহম-জঊঊঈঅখখ” নামে একটি প্রকল্প সিরাজগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলা- সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, কামারখন্দ, উল্লাপাড়া এবং রায়গঞ্জ এ বাস্তবায়ন করে। প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ূ পরিবর্তন অভিঘাতজনিত ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকি স্থানান্তরের কৌশল হিসাবে বীমা কার্যক্রমের প্রচার ও প্রসার; একটি স্থায়ীত্বশীল শস্য বীমা ব্যবস্থার প্রচলন ঘটানো যাতে করে জলবায়ূ পরিবর্তন অভিঘাতজনিত ক্ষয়-ক্ষতি ঝুঁকির মাঝেও কৃষকদের ন্যুনতম আয়ের নিশ্চয়তা বিধান করা সম্ভব হয়; এবং বীমা কোম্পানী কর্তৃক গৎবাঁধা কার্যক্রমের বাইরে এসে অঞ্চলভিত্তিক সমস্যার আলোকে কৃষকদের ঝুঁকি গ্রহণ করা। বর্ণীত উদ্দেশ্যসমুহ হাসিলের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় এনডিপি দুই মেয়াদে বেশকিছু কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছে।
এইক্ষেত্রে সবকিছুর আগে এনডিপি সংশ্লিষ্ট খাতে কর্মী প্রশিক্ষণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ ও গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এর প্রশিক্ষণ ফ্যাসিলিটেশন সহযোগিতায় প্রথম দফায় ১০০ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ১২০ জন কর্মকর্তাকে আবহাওয়ার সূচকভিত্তিক শস্য বীমার উপর প্রশিক্ষিত করে, যাতে করে এই প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাগণ পরবর্তীতে কৃষক প্রশিক্ষণে কৃষকদের মাঝে এ ব্যাপারে সচেতনা সৃষ্টি তথা বীমা, শস্য বীমা, আবহাওয়া সূূচক ভিত্তিক শস্য বীমা, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষকদের ফসল চাষ পরিকল্পনা, আবহাওয়ার তারতম্য, ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা, বীমা প্রিমিয়াম, বীমা পলিসি খোলা, ক্ষয় ক্ষতি নিরুপন, বীমা পে-আউট ইত্যাদি বিষয়ে পরিস্কার ধারনা প্রদান তথা কৃষক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারে। বর্ণীত প্রকল্পটি এনডিপি তার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির ১২ টি শাখার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে । ১২ টি শাখার সকল কর্মকর্তা, লাইন ম্যানেজমেন্ট এর কর্মকর্তাগণ সবমিলিয়ে বিপুল সংখ্যক জনবল এই কর্মসূচির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এইসব প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাগণের মাধ্যমে এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশ ও গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এর কারিগরি সহযোগিতায় পরবর্তীতে এনডিপি প্রথম দফায় ৩ হাজার ৯০০ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২ হাজার ৮৮০ জন কৃষককে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে। উঠান বৈঠক ভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালনার সময় নির্দিষ্ট সংখ্যক নির্বাচিত কৃষক অংশগ্রহণ করলেও বিষয়ের নতুনত্বের কারণে আশে পাশের অনেক নারী, পুরুষ ও আদিবাসি কৃষক কৌতুহলবশত পাশে জমায়েত হয়ে প্রশিক্ষণের বিষয়গুলি মনযোগ দিয়ে শুনতে থাকে যার সুস্পষ্ট প্রভাব পরবর্তীতে বীমা পলিসি খোলার সময় পরিলক্ষিত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশিক্ষণকালিন সময় থেকেই কৃষকগণ আবহাওয়ার সূচক ভিত্তিক শস্য বীমা বিষয়টিতে বেশ উৎসাহিত হয় এবং বীমা বিষয়ে তাদের আগ্রহের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।