যুগের কথা প্রতিবেদক : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া বাজারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী চেয়ারম্যানের ৩৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ।
আজ বুধবার (১০ আগস্ট) মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অংশ নিয়ে তার রুহের মাগফিরাত কামনার অনুরোধ জানিয়ে সকলের কাছে বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন মরহুমের বড় ছেলে বাগবাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইয়াকুব আলীর সংক্ষিপ্ত জীবনী : ১লা জানুয়ারি ১৯৫২ সালে পিপুলবাড়িয়া অজপাড়া গ্রামে এই মহান ব্যক্তির জন্ম, প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন ধলডোব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, পরে পিপুলবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৬২ সালে হরিনা বাগবাটি হাই স্কুলে ভর্তি। স্কুল জীবন পেরিয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তি হোন এবং কলেজ শাখার পূর্ব বাংলার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হোন।
৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের একজন সম্মুখ যোদ্ধা। ইয়াকুব আলী চেয়ারম্যান এর বাবা ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ এবং একজন কৃষক । মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করার দায়ে তার বাবাকে পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেফতার করে সিরাজগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার সময় দত্তবাড়ি গ্রামের মধ্যে স্ট্রোক করে মারা যান।মরহুম ইয়াকুব আলী চেয়ারম্যান হরিণা বাগবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, বাগবাটী ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কালীন সদস্য ছিলেন।
পিপুল বাড়িয়া বাজার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে বিভিন্ন ধরনের পালাগান, যাত্রা গান, হাডুডু, লাঠিখেলা, সংস্কৃতি ইত্যাদি ধরনের আমোদ প্রমোদ দিয়ে বাজার মাতিয়ে রাখতেন।
এভাবে তার জীবনের অনেক ঘটনা বহুল ঘটনা রয়েছে। জাসদ গণবাহিনী রাজনীতি করার কারণে জীবনে ৫/৬ বার কারাজীবন কাটিয়েছেন। তার চার সন্তান। দুই ছেলে দুই মেয়ে। বড় ছেলে ইউসুফ আলী এবং ছোট ছেলে আরিফুল ইসলাম।
১৯৮৮ সালের ১০ আগষ্ট বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার সময় কতিপয় সর্বহারা নামধারী সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে বীরমুক্তি ইয়াকুব আলী চেয়ারম্যানকে নৃশংস ভাবে হত্যাকরে।