ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূমিহীন হয়ে পড়ছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা

হুমায়ুন কবির সুমন
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ ১:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হুমায়ুন কবির সুমন: যমুনা নদীতে তীব্র স্রোতের কারনে ঘূর্ণ্যবেতরের সৃষ্টি হয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরের দক্ষিণে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে আবাসিক প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ায় আবারও ভূমিহীন হয়ে পড়ছে তারা।
শনিবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক মাসে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাকুরতলা ও জালালপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকার অন্তত ৩৪টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে ৫/৬টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙন এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে স্থানীয়রা।ভাঙনকবলিত ভুক্তভোগী আসলাম উদ্দিন, জবেদা বেওয়াসহ অনেকে জানান, যমুনা নদীতে পানি বাড়া ও কমার সঙ্গে সঙ্গে তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনে সরকারি আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের ২৩৮টি ঘরের মধ্যে ৯০টি ঘর নদী গর্ভে চলে যায়। এতে আবাসনের সুবিধাভোগীরা তাদের ঘরের টিন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে অন্যত্র গেছে। আবার কেউ কেউ ঘর হেলনা দিয়ে আছে। এক সময়ের ভূমিহীন মানুষগুলো সরকারি আশ্রয় পেলেও বর্তমানে যমুনার ভাঙনে আবারও ভূমিহীন হয়ে পড়েছে।  তবে বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও পাউবো কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ভাঙন রুদ্ধমুর্তি ধারন করছে এলাকাবাসির অভিযোগ।

এ অঞ্চলে সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনরোধে সাড়ে ৬শ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও ধীরগতির কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে দ্রুত জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের দাবি জানান এলাকাবাসী।

জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, ভাঙন এলাকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধের কাজ দ্রুত করা হোক। আর সরকারি আবাসনের রডসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী সুবিধাভোগীরাই নিয়ে যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিল্টন হোসেন জানান, গত ৪/৫ দিন ওই অঞ্চলে ভাঙন ছিল। গত দুদিনে ভাঙনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যমুনায় পানি বাড়ার কারণে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করা যাচ্ছে না। পানি কমলেই কাজ শুরু হবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, জালালপুর এলাকায় নদী ভাঙনে গুচ্ছ গ্রাম ও আবাসন প্রকল্পের বাড়িঘর বিলীন হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।

প্রসঙ্গত, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছ গ্রামের ২৩৮টি ঘর নির্মাণ হয়। দীর্ঘদিন ধরে যমুনার ভাঙনে ২৩৮টি ঘরের মধ্যে ১৪৮টি রয়েছে। বাকি ৯০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ঘরবাড়ি হারানো মানুষগুলোর মধ্যে কেউ কেউ জায়গা-জমি কিনতে পারলেও অনেকেই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।