শাহিন রেজাঃ আর মাত্র কিছুদিন পরেই শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ।যেখানে নিজেদের দেশ না থাকলেও বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফুটবলপ্রেমীরা দুইটি দেশকে সমর্থক করেন।
একদল আর্জেন্টিনা, আরেক দল ব্রাজিল। ফুটবল বিশ্বকাপ এলেই এই দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে যান বেশিরভাগ ফুটবলপ্রেমীরা।অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায় একই পরিবারে দুইজন দুই দলের সর্মথক।
আগামী ২০ নভেম্বর কাতারে আল বায়েত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে কাতার ও একুয়েডর। তাই এখন থেকেই সিরাজগঞ্জে শুরু হয়েছে ফুটবল সমর্থকদের প্রিয় দুইটি দলের জার্সি বিক্রির হিড়িক।তাই ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোতে দেখা দিয়েছে রমরমা ভাব।
এছাড়াও সিরাজগঞ্জে হকার্স মার্কেট থেকে শুরু করে নামিদামি মার্কেটগুলোর বিপণি বিতানের বেশিরভাগ দোকানেই ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন দলের জার্সি।ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন,দরদাম করছেন এবং কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ কিনেই গায়ের পোশাকটি বদলে ফেলে জার্সি পরে হাঁটা দিচ্ছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
এসব দোকানগুলোতে অনেক দলের জার্সি থাকলেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার জার্সি বিক্রি হচ্ছে বেশি। এরপরই চাহিদা রয়েছে জার্মানি, স্পেন ও পর্তুগালের জার্সি দোকানদারেরা বলেছেন জার্সি বিক্রির দিক থেকে এগিয়ে আছেন আর্জেন্টিনা।
সিরাজগঞ্জে এস এস রোডের মোস্তফা প্লাজায়,ভূবণ খেলাঘরের মালিক রাকিবুল হাসান উজ্জ্বল বলেন,ফুটবল বিশ্বকাপ খেলাকে কেন্দ্র করে জার্সি বিক্রির চাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে।আমার দোকানে এবার পাঁচ দেশের জার্সি থাকলেও আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জার্সি বেশি বিক্রি হচ্ছে।মানভেদে বড়দের জার্সি ৪০০ থেকে ১৩০০ টাকা এবং ছোটদের ২০০ থেকে ৩০০টাকা বিক্রি হচ্ছে।এখন প্রতিদিন প্রায় ২০থেকে ২৫হাজার টাকার জার্সি বিক্রি করছি।
এ মার্কেটে জার্সির আরেকটি দোকান বনফুল খেলাঘর। এখানকার বিক্রয়কর্মী অন্তত শেখ বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জার্সি বিক্রি বাড়ছে।এখন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ পিস জার্সি বিক্রি হচ্ছে। কাপড়ের মান অনুযায়ী নির্ধারণ করা হচ্ছে জার্সির দাম।
জার্সি কিনতে আসা,ফাহিম তালুকদার নামে এক ক্রেতা বলেন, কিছুদিন পর শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ তাই প্রিয় দলের জার্সি কিনতে এসেছি।কিন্তু বাজারে বিভিন্ন ধরনের জার্সি পাওয়া গেলেও তুলনামূলক ভাবে দামের পরিমাণটা অনেক বেশি।
এদিকে সিরাজগঞ্জ শহরের ইসলামীয়া কলেজ মার্কেটের দর্জি কারিগর ইসমাইল হোসেন বলেন,আমি ২০বছর ধরে এখানে দর্জির কাজ করছি প্রতিবার ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার এক মাস আগে থেকেই পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করি। কিন্তু এবার সময় ঘনিয়ে আসলেও পতাকা তৈরির চাপ নেই।প্রতিনিধি ৩-৪টা পতাকার অর্ডার পাচ্ছি। এগুলো আকারভেদে ১৫০ থেকে ৭০০টাকা পযন্ত বিক্রি হচ্ছে।