মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১২টায় সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম সিদ্দিকী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর থানা, বেলকুচি ও টাঙ্গাইল থানায় নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজন ডাকাতকে গত সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে লুট হওয়া ১ হাজার ২শ ৪৪ কেজি লোহার রড ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুইটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে গত ১ নভেম্বর রাতে সয়দাবাদ ইউনিয়নের খাস বড়শিমুল (যমুনা নদীর তীরে) ইকোনোমিক জোন পিডিএল বেজ ক্যাম্পে সংঘবদ্ধ ডাকাত দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পিডিএল বেজ ক্যাম্পের তিনজন সদস্যদের মারপিট করে মোবাইল সেট, লোহার রড, জিআই তার, ব্যাটারী, পাম্প, সিমেন্ট, ইলেকট্রিক ক্যাবল, টুলবক্স, পাইপ, ডিজেলসহ প্রায় ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১শ পাঁচ টাকার মালামাল লুট করে ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির সাথে জড়িত বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম সিদ্দিকী জানান। এদের বিরুদ্ধে আগেও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এর আগে গত ২ নভেম্বর পিডিএল (আরএফএল) এর এক্সিকিউটি ম্যানেজার শফিকুল রহমান বাদী হয়ে ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১শ পাঁচ টাকার মালামাল লুটের বিবরণ দিয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।