শাহিন রেজা : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্বামীর নির্যাতনে শিব্রা কর্মকার (২৩) নামের এক গৃহবধূ গলায় ধরি দিয়ে অত্নহত্যার ঘটনার ঘটেছে।
বুধবার(১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে বেলকুচি উপজেলার চালা কালিবাড়ী গৌড় কুন্ডুর ভাড়া বাসার ৩য় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিপ্রা রানী কর্মকার বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ধুনট সদরের জীবন কর্মকারের মেয়ে ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের রান্ধনীবাড়ী বাজার সংলগ্ন বড়সারুটিয়া কামারপাড়ার লিটন কর্মকারের স্ত্রী।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা জানান,ওই গৃহবধুর পরকিয়া সম্পর্ক আছে,এমন অভিযোগ উত্থাপন করে তার স্বামী লিটন কর্মকার মাঝে মধ্যেই তাকে নির্যাতন করতো। এরই একপর্যায়ে বুধবার(১৪ ডিসেম্বর)সকালে তাকে শারিরীক নির্যাতন করলে সে ওইদিন রাত ৯ টার দিকে অভিমান করে বেলকুচি উপজেলার চালা কালিবাড়ী গৌড় কুন্ডুর ভাড়া বাসার ৩য় তলায় স্বয়ন ঘরের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
দীর্ঘসময় রুমের দরজা না খুললে এবং কোন সারাশব্দ না পেয়ে তার স্বামী দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। কিন্তু স্বামী ঝুলন্ত মরদেহটি নামিয়ে বেলকুচি হাসপাতেলে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তার স্বামী লিটন কর্মকার আত্নহত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং ঘটনাটি বেলকুচি থানা পুলিশকে অবহিত না করে কৌশলে মরদেহটি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রান্ধুনিবাড়ী সংলগ্ন বাজারের বড়সারুটিয়া গ্রামের নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং দাহ করার চেষ্টা করে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার(১৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি বেলকুচি থানা পুলিশ জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি দাহ করতে নিষেধ করেন এবং পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন।
বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আসলামহো সেন,বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ঘটনাটি হত্যা না আত্নহত্যা তা এখনও বলা যাচ্ছেনা,পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।