তিন ম্যাচের সিরিজ ফাইনালে পাগলা পাওয়ার হাউজকে ২-০ তে হারিয়ে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ডব্লিউ। প্রথম দুই ম্যাচে টানা জয়লাভ করে ফাইনালের সিরিজ জিতে নেয় দলটি।
ফাইনালে বিজয়ী দল টিম ডব্লিউর হাতে ট্রফি তুলে দেন টুর্নামেন্টের আয়োজক অরুণ ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ‘ব্যাডমিন্টন বাডিস অফ বসুন্ধরা’র প্রেসিডেন্ট গাজী শারাফুদ্দিন হাসান খান ইমন। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ‘ব্যাডমিন্টন বাডিস অফ বসুন্ধরা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল আবেদীন সহ টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। পুরস্কার বিতরণীর পরে অরুণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি সারপ্রাইজ ‘র্যাফেল ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী বক্তব্যে টুর্নামেন্টের আয়োজক অরুণ ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ‘ব্যাডমিন্টন বাডিস অফ বসুন্ধরা’র প্রেসিডেন্ট গাজী শারাফুদ্দিন হাসান খান ইমন বলেন, ‘মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিহার্য। আগামীতেও এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। সুস্থ ও সুশৃঙ্খল যুব সমাজ গঠনে কাজ করবে অরুণ ফাউন্ডেশন। দেশের বিভিন্ন স্থানেই অরুণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী লুৎফর রহমান অরুণ ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ও প্রধান অস্ত্ৰ প্রশিক্ষক। সিরাজগঞ্জের মহান মুক্তিযুদ্ধের এক বীর সৈনিক গাজী লুৎফর রহমান অরুণ। সিরাজগঞ্জ জেলায় পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ ও গেরিলা যুদ্ধে যে সকল মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন, গাজী লুৎফর রহমান অরুণ ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন এই বীর সন্তান। তার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত হয় সামাজিক সংগঠন অরুণ ফাউন্ডেশন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অরুণ ফিল্ম সোসাইটি। সংগঠনটির দায়িত্বে আছেন গাজী লুৎফর রহমান অরুণের সহধর্মীনি জনাবা শাহনারা রহমান। তার সন্তানেরাও এই সংগঠনটির সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতি বছর বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী লুৎফর রহমান অরুণের স্মৃতিচারনায় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন তার কনিষ্ঠ পুত্র গাজী শারাফুদ্দিন খান ইমন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।