সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে কথিত কমিটি গঠনের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল হোসেন বাবু।
প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, ১৫ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ১৬ এপ্রিল কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নজরে আসার পর আমরা জানতে পারি রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার সাথে বৈঠক করে হাতেগোনা কয়েকজন সাংবাদিক সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নামে একটি কমিটি গঠন করেছে। যেখানে জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও ফজল এ খোদা লিটনকে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দাবী করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন হলো, প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সাংবাদিককে পাশ কাটিয়ে এবং অজ্ঞাত স্থান থেকে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত কমিটির কি বৈধতা আছে।
সংবাদ মাধ্যমে উল্রেখ করা হয়েছে, ওই বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড: কে. এম হোসেন আলী হাসান, সিরাজগঞ্জ চেম্বর অব কর্মাসের প্রেসিডেন্ট ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সুর্য্, সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ইসহাক আলী, সহ-সভাপতি আব্দুল বারী শেখ, সহ-সভাপতি বদরুল আলম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি এসব নেতাদের অনেকেই নাকি বৈঠকটি সর্ম্পকে কিছু জানেন না এবং কেউ কেউ ওই দিন সিরাজগঞ্জেও ছিলেন না। তাহলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ব্যবহার করে এমন প্রতারনা মানে কি।
এ বিষয়ে জানাতে যোগাযোগ করা হলে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, প্রেসক্লাব সংক্রান্ত কোন বৈঠকের জন্য পৌরসভার হলরুম ব্যবহারে পূর্ব নির্ধারিত ছিল না। এখানে কারও সভাপতিত্বে কোন আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে প্রেসক্লাবের কোন কমিটি গঠিত হয়নি। যদি কোন নেতা সেখানে আলোচনা করে থাকে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত আলাপচারিতা।
এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী রবিবার জানান, আমি তিনদিন যাবত ঢাকায় আছি। ওই বৈঠকের সর্ম্পকে আমি অবগত নই।
প্রতিবাদ লিপিতে আরো বলা হয়, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে গত ১৫ এপ্রিল সিনিয়র সদস্য আব্দুল হামিদ খান হীরার আহবানে শনিবার বিশেষ সাধারণ সভা প্রেসক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রেসক্লাবের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ সদস্যের উপস্থিতিতে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাবজেক্ট কমিটির সিদ্বান্তে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।
ওই কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই তথাকথিত ওই কমিটি ফেসবুকে ঘুরতে থাকে। ফেসবুক ও কিছু স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ওই কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ, অগঠনতান্ত্রিক। কোন সভা ছাড়া কোন একটি কক্ষে বসে ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলেই সেটি ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটি হতে পারে না।