তাড়াশে দড়ি বেঁধে যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করলেন ইউপি সদস্য !
তাড়াশ সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সগুনা ইউনিয়নে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে গাছের সঙ্গে দড়ি বেঁধে ও ঝুলিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে রায়হানের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে আজ সোমবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নির্যাতনের শিকার যুবক মো জুয়েল রানা (১৬) নওখাদা গ্রামের মো হাসিনুর রহমানের ছেলে। নির্যাতনের পর তাকে চোর সাজিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন ইউপি সদস্য ও তার লোকজন।
নির্যাতনে অভিযুক্তরা হলেন— স্থানীয় ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সুজন সরদার, পিতা মো মন্টু সরদর, মো মাজেদুল, পিতা মো মৃত আল মাহমুদ, মো শিপন হোসেনসহ আরো অনেকেই ।
নির্যাতনের শিকার জুয়েলের বাবা বলেন, তিন মাস ধরে আমার ছেলে জুয়েলের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। গতকাল রাতে আমার বাড়িতে এসে চাঁদা দাবি করেন ইউপি সদস্য মোঃ সুজন সরদার এতে আমার ছেলে জুয়েল চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজন সরদারে নির্দেশে আমার ছেলে জুয়েলকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার পায়ে দড়ি বেঁধে পা উপরের দিকে তুলে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা মারধর করা হয় ঈশ্বরপুর গ্রামে রায়হানের চায়ের দোকানে সামনে।
‘নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমার ছেলের জিহ্বা বের হয়ে এলে তারা মারধর বন্ধ করে। আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ঘটনাটি জানিয়েছি। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করছি’ বলেন তিনি জানান।
সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন,’ওই যুবককে মারধরের একটি ভিডিও দেখেছি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি ইউপি সদস্য মোঃ সুজন সরদারের।
অভিযুক্ত সগুনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ সুজন সরদারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো শহিদুল ইসলাম বলেন, কোর্টে মামলা হয়েছে বিষয়টি আমরা শুনেছি। ঘটনা জেনে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।