সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মোটর সাইকেলকে সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে রফিকুল ইসলাম গং ও আব্দুল হান্নান গংদের মধ্যে এক সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের আটজন আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে সাতটা দিকে উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামে।
মো. রফিকুল ইসলাম গংয়ের আহতরা হলেন, কুসুম্বী গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে কাউছার কবির কাঞ্চন (১৭) ও হুমায়ুন কবির মানিক (২৬) এবং রফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মো. আনিছুর রহমান (৩৫)।
অপর দিকে আব্দুল হান্নান গংয়ের একই গ্রামের ছলিমুদ্দিন ছেলে মো. আব্দুল হান্নান (৪৫), বেল্লাল হোসেন (৪০), মো. শাহিন (৩৫), আলো খাতুন (৩২) ও শ্যামলী খাতুন (৩৫)।
আহতদের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কাউছার কবির কাঞ্চন, বেল্লাল হোসেন,শ্যামলী খাতুন ও মো. শাহিনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের রফিকুল ইসলাম গং ও আব্দুল হান্নান গংদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে বুধবার বিকেল তিনটার দিকে রফিকুল ইসলাম মটর সাইকেল চালিয়ে তাঁর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
এ সময় আব্দুল হান্নান অটোরিকশা নিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় হান্নান মোটর সাইকেলকে সাইড না দেওয়ার রফিকুল ইসলাম মোটর সাইকেলসহ রাস্তার নিচে পড়ে যায়।
পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে আব্দুল হান্নান অটোরিকশা নিয়ে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার সময় রফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে গেলে রফিকুল ইসলামের ছেলেদের সাথে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে কাউছার কবির কাঞ্চন (১৭) ও হুমায়ুন কবির মানিক (২৬) এবং মো. আনিছুর রহমান (৩৫), মো. আব্দুল হান্নান (৪৫), বেল্লাল হোসেন (৪০), মো. শাহিন (৩৫), আলো খাতুন (৩২) ও শ্যামলী খাতুন (৩৫) আহত হয়।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মারামারির খবর শুনেছি। তবে এখন পযর্ন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।