কামারখন্দে কর্ণসূতি দাখিল মাদ্রাসার সুপারের
বিরুদ্ধে ১৪ লক্ষ টাকার নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের কর্ণসূতি দাখিল মাদ্রাসায় নাইট গার্ড ও আয়া পদে নিয়োগে প্রায় ১২-১৪ লক্ষ টাকার নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে । ১৯৭৯ সালে কর্ণসূতি গ্রামের তাত শ্রমিকদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই দাখিল মাদ্রাসায় এমন অভিযোগে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার একজন জানান, গত ১৮ই আগষ্ট মাদ্রাসায় দুটি পদে পাতানো নিয়োগ দেয় মাদ্রাসার সভাপতি শিবলি নোমান ও মাদ্রাসা সুপার আবু বক্কর সিদ্দীকি । যেখানে প্রায় সব গুলো প্রার্থীই ছিল তাদের সাজানো। যে দুইজনকে চাকরি দেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে প্রায় ১২-১৪ লক্ষ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করা হয়েছে । কাউকে না জানিয়ে ছুটির দিনে নিয়োগের দিয়েছে তারা। এই নিয়োগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ কয়েকজন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও জড়িত ।
না প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার একজন শিক্ষক জানায়, কোন জায়গায় নিয়োগ সচ্ছ হয় না । সব জায়গায় এমন হয়েই থাকে ।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি জানান, আমি একদম সচ্ছ মানুষ । আমি ওইসব পছন্দ করি না । আর মাদ্রাসা সুপার এমন করেছে কিনা সে বিষয়ে আমি জানি না ।
নিয়োগ বানিজ্যের ব্যপারে মাদ্রাসা সুপার আবু বক্কর সিদ্দীকিকে একাধীক বার ফোন করা হলে সে ফোন রিসিফ না করে ফোন বন্ধ করে রেখে দেয় । এবং সরেজমিনে মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার শিক্ষকগন এ বিষয়ে কোন তথ্য জানান না বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকমান আলী জানান, এই দৃশ্য শুধু এই উপজেলায় নয় সারা দেশে । তবে এই মাদ্রাসায় এমন হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই ।