কামারখন্দে রাস্তার দুই পাশে মরা গাছ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের আলোকদিয়ার-কড্ডা এলাকার আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০টি বড় মরা গাছ দাঁড়িয়ে আছে।
এগুলোর ডালপালা কিংবা ঝোড়ো বাতাসে যে কোনো সময় রাস্তায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ফলে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে রাস্তায় চলাচলের যানবাহন গুলো। এ পথ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন।
বুধবার (১৩ সেপ্টম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, এই আঞ্চলিক সড়কের দুপাশে শত শত গাছ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি মতো মরা গাছ আছে। এই সড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ছোট-বড় ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এ ছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া-আসা করেন। এদের মধ্যে আছে সরকারি চাকরি জীবি, স্কুল, কলেজের অনেক শিক্ষার্থীও।
এই রাস্তায় চলাচল করা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল চালকেরা বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তায় গাড়ি চালাতে হয় তাঁদের। কিন্তু কখন আবার মরা গাছগুলোর ডাল-পালা কিংবা গোটা গাছ ভেঙে পড়ে এই চিন্তায় ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এগুলো দ্রুত কেটে ফেলা দরকার। তা না হলে যেকোনো সময়ে গাছ পড়ে যাত্রী ও গাড়ির বড় ধরনের ক্ষতি বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মেসবাহুল হক ও রানা বলেন, অনেক দিন ধরেই দেখছি গাছগুলো মরে গেছে। এভাবে গাছ মরে আছে অথচ দেখার কেউ নেই। এই ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। গাছ হঠাৎ যাত্রীবাহী গাড়ির ওপরে পড়লে বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। তার আগেই গাছগুলো কেটে ফেলে নতুন গাছ লাগানোর অনুরোধ করছি।
কামারখন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম শহিদুল্লাহ সবুজ বলেন, মরা গাছগুলো দেখেছি। এগুলো অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ খাঁন বলেন, মরা গাছের বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। চলতি অর্থ বছরে বিধি মোতাবেক গাছগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।