সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ঝাটিবেলাই ফুলজোড় নদী থেকে বাংলা ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে জামাই-শ্বশুড়। উত্তোলণকৃত বালু পাইপের মাধ্যমে মানুষের বাড়ীর নীচু স্থান ভরাট করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শ্বশুর সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা গাজী হাসান খসরু খান ও তার জামাতা ইউসুফ আলী। স্থানীয়রা বলছেন, বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এ অবস্থায় এলাকাবাসী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধসহ জামাই-শ্বশুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন দাবী জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও শহরের রহমতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা গাজী হাসান খসরু ও তার জামাতা ইউসুফ আলী ওয়েস্টার্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাব ঠিকাদার হিসেব্ নদী খননের কাজ নেন। নিয়ম অনুযায়ী হাইড্রোলিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণ করে স্তুপ করে রাখতে হবে। এরপর ওই বালু স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনর অনুমতি সাপেক্ষে মসজিদ-মাদ্রাসার পাশাপাশি নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। বিক্রির অর্থ জমির মালিক এবং সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হবে। কিন্তু জামাই-শ্বশুর কাজ নেয়ার পর থেকে সম্পুর্ন অবৈধভাবে নদীতে বাংলা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে সরাসরি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ীর কাজের জন্য নীচু জমি ভরাট করে দিচ্ছে। ৫ টাকা সেফটি হিসেবে বালু বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জামাতা-শ্বশুর। তাদের কাজে স্থানীয় আরেক আওয়ামীলীগ নেতা দাবী করা ঝন্টু ও তার কয়েকজন সহযোগী সহযোগিতা করছেন। আর এ কাজের জন্য ঝন্টু মোটা অংকের টাকা পার্সেন্টেন্স নিচ্ছেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ঝন্টু বলেন, গাজী হাসান খসরু খান ও তার জামাতা ইউসুফ আলী বালু উত্তোলন করছেন। আমি শুধু যাদের মাটি লাগবে তাদেরকে ঠিক করে দিচ্ছি। এতে আমাদের কিছুটা কমিশন দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইউসুফ আলী জানান, সাব ঠিকাদার হিসেবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বাংলা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে মানুষের বাড়ী করার জন্য ভরাট করে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে কোন সদুত্তর না দিলেও নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন সুলতানা জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।