দুই কর্মদিবস বাদ দিলে এবারের ঈদের ছুটি দাঁড়াবে ১০ দিন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সমীক্ষা বলছে, এ ছুটিতে রাজধানী ছাড়তে পারেন এক কোটি ২০ লাখ মানুষ। এ সংখ্যা দিনে প্রায় ৩০ লাখ। তবে বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থার সক্ষমতা বড়জোর ২২ লাখ। তাই আগেই দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকটের শঙ্কা। এ ছাড়া দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নকাজের কারণে আছে যানজটের দুশ্চিন্তা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের ছুটি ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন পয়লা বৈশাখ। এতে শবে কদরের পর কেউ দুই দিন ছুটি নিলে, মোট ছুটি দাঁড়াবে ১০ দিনে।
লম্বা ছুটিতে বাড়ি ফেরার প্রবণতা থাকে বেশি। আর সে চাপ সড়কে বেশি পড়ে ঈদের আগের দুই থেকে তিন দিন। এ অবস্থায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি। আগাম টিকিট দেওয়াও শুরু করেছে রেলওয়ে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জানিয়েছেন, ঈদের আগের চার দিনে ঢাকা ছাড়তে পারেন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। সে হিসাবে দিনে গড়ে বাড়ি ফিরবেন ৩০ লাখ। তবে বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থার সক্ষমতা বড়জোর ২২ লাখ। এ কারণে ভোগান্তি এড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতের বাস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যত সংকটই হোক ঈদযাত্রায় সড়কে ফিটনেসহীন বাস চলতে দেওয়া হবে না। কোনো যানবাহনের গেটে বা ছাদে করে কেউ যাত্রা করতে পারবে না। পাশাপাশি যানজটপ্রবণ ১৫৫ স্পট চিহ্নিত করে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বলছে, সার্বিকভাবে সড়কের অবস্থা এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো। তাই অন্য বারের চেয়ে এবারের যাত্রা হবে স্বস্তির।
বুয়েটের সমীক্ষা বলছে, ঈদের তিন দিন প্রায় আট লাখ মানুষ বাস-মিনিবাসে, ১ লাখ ৫ হাজার ট্রেনে, সোয়া লাখ লঞ্চে চলাচল করবেন। আর প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাসে বাড়ি ফিরবেন সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে ৪ লাখ আর ৮ লাখ মানুষ ফিরবেন ট্রাকসহ নানা অপ্রচলিত বাহনে।