বাঙালির কাছে অতি প্রিয় ঋতু বর্ষাকাল। বর্ষায় প্রকৃতির অপরূপ রুপ আর আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো কখনো ছাইরাঙা, কখনো সাদা মেঘের ভেলা মন কেড়ে নেয়। অবারিত মাঠ সেজে উঠে, ভরে উঠে থৈই থৈই সাদা পানিতে, মাঝিরা রঙের নাউ ভাসায়, জেলেরা জেগে উঠে, স্বপ্নে মাতে নতুন পানির সুভাসে। গুরু গুরু মেঘ মেঘলা আকাশ, থেমে থেমে বৃষ্টি, টলমলে জলের পুকুর, মাটির সোঁদা গন্ধ, ভেজা সবুজ ঘাস আর সবুজ পাতার কমলতা,স্নিগ্ধতা ছড়ায় গ্রাম বাংলাকে।
শাপলা, পদ্ম, কদম কেয়া আরও কত রং-বেরঙের ফুলের হাসিতে জেগে উঠে বাংলার প্রতিটি জনপদ।
সেই জনপদের পাবনার চাটমোহর কুমারগাড়ায় ফুল,পাখি আর সবুজে ঘেরা একান্তে শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় কবীগুরু রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গানে গানে, বর্ষার কবিতায় বর্ষাকে বরণ করেন শুদ্ধ সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চায় বদ্ধপরিকর একান্ত রবীন্দ্রপাঠ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রাবলী থেকে পাঠ করেন রবীন্দ্র গবেষক আব্দুর রশিদ।
এর পর আবার এসেছে আষাঢ়, আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে দুয়ার কাঁপে ক্ষণে ক্ষণে ঘরের বাঁধন যায়
যায় বুঝি আজ টুটে…
কবিগুরুর বর্ষার এমন গানের মূর্ছনা ছড়ান ওস্তাদ সঙ্গীত শিল্পী শংকর বিশ্বাস, এস এম মাসুদ রানা, লিটন শেখ। রবীন্দ্রনাথ এবং জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন আলমগীর মোহাম্মদ, মিলন রব, দিপন শাহরিয়ার। বর্ষাকে ঘিরে স্বরচিত কবিতা ও প্রবন্ধ পাঠ করেন শাহীন মনোনয়ার।
সঙ্গীতে তবলায় সংগত করেন কৈলাশ চক্রবর্তী।