সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণজমায়েত ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল সারে তিনটায় উপজেলার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে গণজমায়েত ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শম্ভুনাথ দাসের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌস।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শেখ সোহেল মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস।
প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদকে কামারখন্দে আওয়ামীলীগের নেতারা আক্রমণ করেছিল। তখনো আমরা রাজ পথ থেকে পিছপা হয়নি। আজকে আওয়ামীলীগ কোথায়? কামারখন্দের সাবেক এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেছিলো বিএনপির জামায়াতের হাত -পা ভেঙে দিতে। আজকে তিনি কোথায়? শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে পুরো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আধা ঘন্টাও সময় লাগেনি গাঁ ঢাকা দিতে।
এখন মিল্লাতকে বলবো আসেন কামারখন্দে, এখন তো পুলিশ নাই। মোকাবেলা রাজনৈতিকভাবে করব।সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি দাবি করে তিনি বলেন, যে সব আওয়ামীলীগের নেতারা এখনো স্বপ্ন দেখছেন শেখ হাসিনা আসবে! কিন্তু না, শেখ হাসিনা আসবে না। আমরা বিএনপির নেতারা স্বৈরাচারী হাসিনাকে এনে বিচার করব।
তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা ইন্ডিয়ান পুলিশ তারাই এখন কাজে যোগ দেয়নি। আর তারা কাজে যোগ দিবেও না। গত ৫ তারিখ থেকে আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহাড়া দিচ্ছি। আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থেকেই সারাজীবন কাজ করে যেতে চাই।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উথান, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, বিএনপি নেতা হাবিল উদ্দিন, গোলাম সাকলাইন চঞ্চল, সোহেল মাহমুদ খান, সাইদুল ইসলাম, এম এ আলীম মন্ডল, যুবদল নেতা হাসনাতে রাব্বী সুমন, ছাত্রদল সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইসলাম, সরকারি হাজী কোরপ আলী কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক শামীম সরকার প্রমুখ।