ঢাকারবিবার , ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বেলকুচিতে জমির টপ সয়েল কেটে নেওয়ার অভিযোগ আ.লীগ – বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে! 

যুগের কথা প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৮, ২০২৪ ১০:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

যুগের কথা প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সড়ক প্রশস্ত করণ ও মেরামত কাজে জবরদস্তি করে কৃষকদের আধাপাকা ধান কেটে সরিয়ে রেখে মাটির টপ সয়েল কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বাঁধা দিলেও থোড়াই কেয়ার করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজে নিয়োজিত স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
 ইতোমধ্যেই সড়ক ঘেঁষে  দুই পাশের এক কিলোমিটার এলাকার ফসলী জমির টপ সয়েল লুটে নিয়ে রাস্তায় ফেলেছে। একই সাথে জমিওয়ালাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে জোর করে সড়ক ঘেঁষে ৫/৬ ফুট গভীরতায় পরিখা খনন করে মাটি কেটে নিয়ে সড়ক প্রশস্ত করছে।
 ভুক্তভোগী শেলবরিষা গ্রামের কৃষক আমির হোসেন  বলেন, ‘বেকো মেশিন দিয়ে আমার ফসলী জমির মাটি কেটে নিচ্ছে একই সাথে রাস্তার পাশে লম্বা গর্ত খুঁড়ে জমিটা নষ্ট করেছে,প্রতিবাদ বা বাঁধা দিয়েও কাজ হয় নাই।’
শেলবরিষা গ্রামের কৃষক বেলাল সরকার (৭০) বলেন, ‘আমার তিন বিঘা জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে রাস্তায় ফেলেছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, বিএনপি আওয়ামী লীগ একজোট হয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাস্তার কাজের নাম করে গরীব কৃষকদের জমির উপরিভাগের মাটি কেটে রাস্তায় ফেলছে। কৃষকের অপূরনীয় ক্ষতি সাধন করছে এরা। এভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ায় এলাকার ৫১ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস এন্ড পিচ ফর বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জ ইউনিটের প্রেসিডেন্ট পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকট শহীদুল ইসলাম বলেন, কৃষি জমির টপ সয়েল কাটা যাবে না। এটি প্রচলিত আইনের পরিপন্থি। উচ্চ আদালতের অনেক জাজমেন্ট আছে এ ব্যাপারে।
শেলবরিষা গ্রামের কৃষক আকছেদ আলী, মাসুদ সরকারের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন, একই গ্রামের কৃষানী অঞ্জনা খাতুন, কৃষক গোলাম রাব্বানী, আব্দুল আলিম, বলরামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের  সরকার সহ অনেকে জানান,বেলকুচি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, সদস্য সচিব  বনি আমিন,বেলকুচি পৌর বিএনপির আহবায়ক আলতাফ হোসেন এবং বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পত্নী আশানুর বিশ্বাসের ভাতিজা ও আশানুর বিশ্বাসের ব্যবসায়িক ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, যোগনালা গ্রামের প্রয়াত রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ভাতিজা শাহিন, বিশ্বাসবাড়ি গ্রামের আজহার মেম্বরের ছেলে বিএনপি নেতা  সোহেল ডাক্তার, শেলবরিষা গ্রামের মনিরুল ইসলাম, ইয়াকুব মেম্বর, যোগনালা গ্রামের কোহিনুর মেম্বর সহ তাদের লোকজন এই কাজের সাথে জড়িত এবং গত ৪ নভেম্বর বলরামপুর পয়েন্টে এই প্রকল্পের সাইট ইঞ্জিনিয়ার  সহ উপরোক্ত লোকজন উপস্থিত থেকে কাজের উদ্বোধন করেন। তারা আরো জানান, ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর থেকে শুরু হওয়া জোর জবরদস্তি  চলছে দেদারছে। কৃষকদের অসহায়ত্ব যেন দেখার কেউ নেই।
সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর জিসি হতে বলরামপুর জিসি ভায়া ধুকুরিয়াবেড়া বাজার-খামার উল্লাপাড়া বাজার-সগুনা চৌরাস্তা (বেলকুচি অংশ) পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করণ ও পুনর্বাসন কাজের টেন্ডারে কাজটি পায় রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন। এ কাজের  চুক্তি মূল্যে দুই কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজের মেয়াদ ২০২৪ সালের  ১ মে থেকে ২০২৫ সালের ৩০ এর এপ্রিল   পর্যন্ত।
গোপন সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পত্নী আশানুর বিশ্বাস। জনরোষ থেকে বাঁচতে আশানুর বিশ্বাসের পরিচয় গোপন রেখে তার পক্ষে কাজ তোলার দায়িত্বে রয়েছেন আশানুর বিশ্বাসের ভাতিজা ও আশানুর বিশ্বাসের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন। আশানুর বিশ্বাসের সাথে কাজের পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন বেলকুচি বিএনপির চার নেতা ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা।বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের স্প্রিরিট উপেক্ষা করে ঠিকাদারি উন্নয়ন কাজে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী নেতাদের সাথে নিয়ে ভাগবাটোয়ারা কাজে বিএনপির নেতা-কর্মীরা লিপ্ত থাকায় জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানান স্থানীয়রা।

বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশনের পক্ষে ঠিকাদার আশানুর বিশ্বাসের ভাতিজা ও আশানুর বিশ্বাসের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যেভাবেই হোক এ প্রকল্পের কাজ আমি করছি। কৃষকের জমি থেকে মাটিকাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন কয়েকদিন পরে জমিতে করা গর্ত ভরাট করে দিব।’ এ দিকে আশানুর বিশ্বাস উক্ত কাজের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।
অপরদিকে বেলকুচি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম উক্ত প্রকল্পে আনোয়ারের সাথে পার্টনারশীপে কাজ করার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন ওই কাজের সাথে আছি। তবে আমি ঠিকাদারি কাজ খুব একটা বুঝিনা। উদ্বোধনের সময়ে উপস্থিত ছিলাম। এরপর আর যাওয়া হয় নাই। কৃষকের ক্ষতি হয়ে থাকলে সেটা আমরা দেখবো।’
সড়ক ঘেঁষে পরিখা খনন করে মাটি কাটার স্থিরচিত্র দেখে বেলকুচি এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন খান বলেন, ‘সড়ক ঘেঁষে এভাবে মাটিকাটা যাবে না। আমরা এটা মানবো না। কাজে অন্যায় হয়ে থাকলে ঠিকাদার ছাড় পাবে না।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।