প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবা
গত ১৪ জানুয়ারি-২০২৫ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় ‘সিরাজগঞ্জে নিপীড়নের অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধেসহ বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জুয়েল রানা।
প্রকৃত ঘটনা হলো: চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও ওমরপুর ইউনিয়ন বিএনপির যৌথ মত বিনিময় সভার স্থান নির্ধারণকে কেন্দ্র করে বহিস্কৃত উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনিস শিকদারের সঙ্গে জুয়েল রানার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরই জেরধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবু কাহার সিদ্দিকীর সাথে যোগসাজশ করে প্রোগ্রামের স্থান পরিবর্তনে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েও তারা ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে পূর্বনির্ধারিত চর সলিমাবাদ ঈদগাহ মাঠে সুশৃঙ্খলভাবে বিএনপির যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমসহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সেই মতবিনিময় সভাটি সাফল্যমণ্ডিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জুয়েল রানা। সভায় হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ দেখে আনিস শিকদার ঈষান্বিত হয়ে জুয়েল রানাকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই অংশ হিসেবে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সম্ভুদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক বিস্ফোরকদ্রব্য মামলার এজাহার নামীয় আসামী আবু কাহার সিদ্দিকী গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে তার স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র (১৪)’কে বলাৎকার নাটক সাজিয়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জুয়েল রানাকে ফাসানোর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন। এমনকি ওই ছাত্রের বাবাকে বাদী করে সোমবার রাতে চৌহালী থানায় মামলা করতে বাধ্য করেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আনিস শিকদার। এতে নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ে আ.লীগ নেতা কাহার সিদ্দিকী। তাদের সম্পর্ক তাঐই পুত্রা।
মূলত আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ‘বলাৎকার’ নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এমনকি সমাজের দর্পণ হিসেবে একজন বিবেকবান সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদগুলো প্রকাশ করেছেন।
আমার এক মেয়ে টাঙ্গাইল কুমুদিনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও এক সন্তান রয়েছে। আমি দুই সন্তানের গর্বিত পিতা হয়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে কখনো জড়িত হতে পারি না। ঘটনাটি প্রশাসন তদন্ত করলেই প্রমাণ মিলবে। মূলত প্রকাশিত সংবাদগুলোতে আমাকে জড়িয়ে যাহা বলা হয়েছে তাহা আদৌ সঠিক নয়। ইহা সম্পুর্ণই মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কেননা একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমার পরিচ্ছন্ন কর্মকাণ্ড দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী ও স্বার্থন্বেষী মহল তাদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যে সংবাদগুলো প্রচার করিয়েছে।
আমি জুয়েল রানা ছাত্রজীবন থেকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন কর্মী। বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে দলকে সুসংগঠিত করতে মাঠে নেমে কাজ করেছি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে চাকরি প্রবেশ করলেও আমার মন পড়ে থাকতো জন্মভূমি চৌহালীতে। দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের অর্থনৈতিকভাবেও সহায়তায় করেছি। পরবর্তীতে অবসর নিয়েই বিএনপির রাজনীতিতে ফিরে এসেছি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দিক-নির্দেশানয় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছি। এমনকি ২০২৪ সালে আওয়ামীলীগের রাতের ভোটের নির্বাচন প্রতিহত করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের দিক-নির্দেশনায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সার্বক্ষনিকভাবে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছি। এতে প্রতিহিংসামূলকভাবে রাজনৈতিভাবে দমিয়ে রাখতে আমার বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ ও জ্বালাও-পোড়া ঘটনা দেখিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য মামলা দায়ের করে তৎকালীন কথিত স্বৈরাচারের দোসররা। তবুও একদিনের জন্যও রাজপথ থেকে পিছুপা হইনি। বরং নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে পাশে থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে রাজপথে থেকে কাজ করেছি। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে স্ব-পরিবারে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছি। কারণ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম খান আলীমের আমি অতি আস্থাভাজন হওয়ায় চৌহালী উপজেলার ৭নং বাঘুটিয়া ইউনিয়নটিকে বিএনপির দুর্গ গড়ে তুলতে কাজ করছি। এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থিতা ঘোষণা দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে বহিস্কৃত নেতা আনিস শিকদার নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই মিথ্যা বলাৎকার নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতেই ওই চক্রটি আবার তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই আমি প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করতে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি ও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে মিথ্যা সংবাদগুলো পড়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি ও প্রশাসনহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের নিকট বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
মোঃ জুয়েল রানা
সাংগঠনিক সম্পাদক
চৌহালী উপজেলা বিএনপি, সিরাজগঞ্জ।