শাহিন রেজা: সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে দিন দিন বেড়ে চলেছে থ্রি হুইলার সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার তথ্য মতে গত এক মাসে ১২টি মামলায় ১৬জনের মৃত্যু হয়েছে। যার বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারন ছিলো অবৈধ থ্রি হুইলার।
মহাসড়কে তিন চাকার (থ্রি-হুইলার) যানবাহন চলাচলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঢাকা- সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত এসব গাড়ির দেখা মিলছে অহরহ। তিন চাকার যানবাহনের পাশাপাশি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহনের বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল এবং অদক্ষ চালকের কারণেই সড়কে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।যার ফলে মহাসড়ক এখন হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ।
তিন চাকার এসব যানবাহনের কারণে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ- ঢাকা মহাসড়কের ২২ কিলোমিটার রাস্তা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। দুর্ঘটনার আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে দুই পাল্লার ভারি যানবাহন গুলো।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়কে অটোরিকশা সিএজির দাপট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে না কোনও পদক্ষেপ। মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দু পাল্লার ফিটনেস বিহীন যানবাহনগুলোতে রেগুলার মামলার আওতায় আনা হলেও অবৈধ থ্রি হুইলার গুলোর বিরুদ্ধে নেই কোন ব্যাবস্থা। যারফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি তৈরি হচ্ছে ভ্রান্ত ধারণা ।
তারা বলছেন, দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে এবং সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে থ্রি হুইলার বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
একাধিক থ্রি হুইলার ও সিএনজি চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, মহাসড়কে আমরা এখন দাপটের সাথে অটো চালায়। হাইওয়ে থানার এই ওসি খুব ভালো, আমাদের কিছু বলেন না। কিন্তু একসময় আমরা এই মহাসড়কে অটো তুললেই মামলা খেতাম। কিন্তু বর্তমানে সেই ভয় আমাদের নেই। এখন আর আমাদের পুলিশ কোন ঝামেলা করেন না।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রউফ বলেন, মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলোতে আমরা প্রতিনিয়ত মামলা দিচ্ছি তবে ৫ তারিখের পরে মানুষ আইন মানছে কম যার কারনে মহাসড়কে থ্রি হুইলারের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে, হাইওয়ে পুলিশ সুপার বগুড়া রিজিয়নের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের অনলাইন সাইড থেকে সংগ্রহ করা নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।