ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিক্ষিকা’কে লাঞ্ছিত ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ ইউএনও”র বিরুদ্ধে

যুগের কথা ডেস্ক
মে ১৩, ২০২৫ ১২:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাইসুল ইসলাম রিপন, কামারখন্দ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জামতৈল ধোপাকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা (শারীরিক শিক্ষা) কে অফিস কক্ষে লাঞ্ছিত,অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুলের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মোছা. সালমা খাতুন গত (২২ এপ্রিল) জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুলের বিরুদ্ধে।

 

লিখিত অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, গত (১৬ এপ্রিল) বিদ্যালয়ের এক সহকর্মীর সঙ্গে সালমা খাতুনের ব্যক্তিগত বিষয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকর্মীদের উপস্থিতিতে বিষয়টি আলোচনায় বসে অফিস কক্ষে,যেখানে সহকর্মী শাহানা পারভীনের সাথে কথা-কাটকাটি এক পর্যায়ে তাকে জুতা খুলে ছুরে মারলে চোখে আঘাত পান বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে পরে বৈঠক করে এর সুষ্ঠু সমাধান দেওয়া হবে বলে কথা দেন।

সালমা খাতুনকে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক জানায় বিষয়টি ইউএনও স্যার অবহিত করা হয়েছে। আপনি ঢাকা থেকে আসলে ইউএনও স্যারকে নিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। এরপর গত (২১ এপ্রিল) এসএসসি পরিক্ষার হলে ডিউটি নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে কথা বলতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানায় ইউএনও স্যার আপনাকে দেখা করতে বলেছে। সেই প্রেক্ষিতে গত (২২ এপ্রিল) দুপুরে ইউএনও অফিসে যায়। ইউএনও স্যার বিষয়টি শোনার পরে আমাকে বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার জন্য বসতে বলেন। তখন ইউএনও স্যারকে বলি যে স্যার বিষয়টি বিদ্যালয়ে না বসে আপনার দপ্তরে বসেন এবং আমার তিনজন লোককে রাখার অনুরোধ করি। তার প্রতিত্তোরে তিনি বলেন কে কে? আমি বলি বিদ্যালয়ের সাবেক দুই প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি। এ কথা শোনার পরেই তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন ও আমাকে ভয়ভীতি দেখান। তিনি আমাকে বলেন এসএসসি পরিক্ষার ডিউটি বন্ধ করেছি আমি চাইলে চাকরিও শেষ করে দিতে পারি। এরপর তিনি আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার কথা বলেন ও অফিসের লোকজন দিয়ে আমাকে জোড় বের করে দেয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

সহকারী শিক্ষিকা (শারিরীক শিক্ষা) মোছা: সালমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন,ইউএনও অনামিকা নজরুল স্যারে তার অফিস কক্ষে নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও ভয়ভীতি দেখায় পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক চাপে রেখেছে। প্রধান শিক্ষক আমাকে বারবার ইউএনও স্যারের কাছে “সরি” বলতে বলছে। প্রধান শিক্ষকও আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছে। এরপরও যদি আমাকে জোড় করে সরি বলাতে নিয়ে যায় তাহলে আমি ট্রেনে নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করবে এর জন্য দায়ী থাকবে ইউএনও স্যার ও আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

জামতৈল ধোপাকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারকে সরি বলতে বলা হয়নি আর আমি তাকে মানসিকভাবে চাপও দেয়নি।

কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অনামিকা নজরুল’কে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার (হোয়াটসঅ্যাপে) ক্ষুদে বার্তা দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত (৬ মে) উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদের ছয়টি এসি বন্ধের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল। এমন শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ হয় তার বিরুদ্ধে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।