ময়মনসিংহ গফরগাঁওয়ে পাগলা স্বামীর অত্যাচারে স্ত্রী বিষ পান করে মারা যায়। মশাখালী ইউনিয়নে বেলাবর গ্রামের মুলাম নিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন ২৭/২৮ বৎসর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহে আবদ্ধ হয় । মোশারফ বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে শেলি আক্তারের কাছে ।
স্ত্রী শেলি আক্তারের এক বছর পর তার ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয় । স্বামী এবং সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অসচ্ছল বাবার কাছ থেকে এক এক করে কয়েকবার টাকা এনে দেন পাষণ্ড স্বামীকে। স্ত্রী-সন্তান কারো মুখের দিকে তাকাননি পাষণ্ড স্বামী। ভালুকা মাষ্টারবাড়ি গার্মেন্টসের একজন শ্রমিক ছিলেন শেলী আক্তার। মাসব্যাপী ডিউটি করে বেতন পেলে স্বামীর হাতে সবগুলো টাকা দিয়ে দিতেন । স্বামী – স্ত্রীর দিকে একটু মায়া মমতা টুকুও ছিলনা। সেলিনার হাতে পান খাওয়ার টাকা দেয়নি । হাত খরচের টাকা চাইলে স্বামী মারপিট করতে শুরু করে । ১১/১০/২০২০ইং শেলী আক্তার মারা যাওয়ার এক দিন আগে গার্মেন্টসে বেতন দেন । পাষাণ স্বামী গার্মেন্টসের বেতনের টাকা নেওয়ার জন্য ফ্যাক্টরির ভিতরে প্রবেশ করেন । স্ত্রী কত টাকা বেতন পেয়েছে স্বামী জানতে চায়, শেলি আক্তার স্বামীর হাতে বেতনের টাকা না দেয়ায় স্বামী শেলী আক্তারকে অবিশ্বাস করে চাপ সৃষ্টি করে, এক পর্যায়ে পাষাণ স্বামী ফ্যাক্টরির ভিতরে অনেক শ্রমিক এর সামনেই কানপেচে একটি থাপ্পড় মারেন । স্ত্রী ওই দিন থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রী শেলি আক্তার তার দুটি সন্তান নিয়ে ওই রাতেই একসাথে রাতের খানা খেয়েছে।শেলি আক্তার অপমান, কষ্ট সহ্য না করতে পেরে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে শেলি আক্তার এর ভাই বোন। এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানায় শেলি আক্তার এর পিতা জুলমত বাদী হয়ে একটি মামলা করেন ।