মোঃ রাইসুল ইসলাম রিপন,কামারখন্দ প্রতিনিধিঃ একটি সময় মা-বাবা সবাই কিছুই ছিলো তিন বছরের শিশু আফাসের কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মূল খেলা এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখার আগেই আফাজের মাকে তালাক দিয়ে দেয় নিষ্ঠুর তার বাবা। বলছি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল দিয়ার পাড়ার বাসিন্দা শাহিদা”র শিশু ছেলে আফাসের কথা।
অবশেষে শিশু আফাসের জন্ম হয় তার নানা বাড়িতে,জন্মের পর থেকে দীর্ঘ দুই বৎসর নানা বাড়িতে বড় হয়। নানা বেঁচে না থাকায় পুরো দায়িত্ব নিতে হয় নানী ও তার দিনমজুর মামাকে। বোনের কথা চিন্তা ভাবনা করে হঠাৎ আফাসের মা শাহিদাকে ১লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়ে আবারও বিয়ে দেয় আফাসের নানি ও দিনমজুর মামা । কিন্তু সে আসায়ও গুরে বালি । বিয়ের ৩ মাসে যেতে না যেতেই কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ মারা যায় মা শাহিদা । শিশু আফাসের খোঁজ খবর নেয়ার মত তেমন কেউ নেই। দিনমজুর মামা সাড়া দিন বাজারে চা বিক্রি করে যে টাকা পায় তা দিয়ে চলে কোন ভাবে তাঁর সংসার। নানি সায়মা খাতুন (৬০) আলাদা সংসার কখনো মাটি কেটে অন্যের বাড়িতে কাজ করে চলে কনো রকম ভাবে সংসার ।
এর মধ্যে আবার নাতি আফাসের দায়িত্ব এসে পরে নানির উপর । নানির যখন নিজেরই সংসার চালাতে হিম সিম খেতে হচ্ছে তখন ৩ বৎসরের শিশু আফাসকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন চলচ্ছে সায়মা খাতুনের । শিশুটির শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের প্রাকৃতিক রোগ ।খাবারের টাকা যোগান দিতে যখন নানির অনেক অসুবিধা তখন চিকিৎসার টাকা কোথায় পাবে।দিশেহারা হয়ে পরেছেন নানি । বর্তমানে প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পরেছে শিশু আফাসের ভবিষ্যৎ । শুধু চিকিৎসার খরচই নয় ভবিৎসতে কে দেখবে আবার কে খাওয়াবে এমন প্রশ্ন স্থানীয় এলাকাবাসির । সরকার ও সমাজের বিত্তবানেরা এগিয়ে আসলে হয়তো শিশু আফাস তার সুন্দর ভবিৎসতের চিন্তা করতে পারবে বলে মনে করেন নানি সায়মা বেগম । আফাজকে যদি আর্থিক কোন সহায়তা করে তাহলে হয়তো চিকিৎসা করতে পারবেন নানি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা বলেন, যেহেতু শিশুটির বয়স খুবই কম সেহেতু তাকে কোন সরকারি সুবিধা দিতে পারছি না । তবে ওর নানিকে সরকারি কোন সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করবো ।