ওদের বাবা-মা নেই। মায়ের আদর-স্নেহ মেলে না। সরকারি শিশু পরিবারে বেড়ে উঠছে। তাই সমাজের আর দশটা শিশুর থেকে আলাদা ওদের জীবন। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলার সুযোগও পাচ্ছে তারা। তারপরও মা আর স্বজন না থাকার বেদনা ওদের সব সময় ঘিরে রাখে। ভাল মানের খাবের জন্য বাহিরে রেস্তোরাঁয় বা চাইনিজে আসা হয় না কখনো। সেই চিন্তা থেকেই মানবতার ফেরিওয়ালা মামুন বিশ্বাস
চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এতিম শিশুদের সাথে দুপুরের খাবার নিজ হাতে ওদের পাতে খাবার তুলে দিলেন। এতে মা না থাকার দুঃখ কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলে গিয়েছিল এতিম শিশুরা। একই টেবিলে জেলা প্রশাসকের সাথে খাবার খেয়ে অনেকটাই আনন্দ উপভোগ করলেন সিরাজগঞ্জ সরকারী শিশু পরিবারের এতিম শিশুরা।
শনিবার দুপুরে শহরের অভিজাত গুড ফুড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ভিন্ন আয়োজনে এই খাবার খাওয়ানো হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজক মানবতার ফেরিওয়ালা মামুন বিশ্বাস জানান, আমরা সময় ভিন্ন আয়োজনে অসহায় ও পথশিশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করি। এই কারণে আজ আমাদের এই আয়োজন। আমরা চাই আগামীতে আমাদের দেখাদেখি সমাজের আরো অনেকেই এই এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াবে এবং খাবার তুলে দিবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ডা. ফারুক আহম্মদ তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, সরকার এসব শিশুর জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এসব শিশু পড়ালেখা, খেলাধূলাসহ সব রকমের সহযোগিতা পেয়ে বেড়ে উঠছে। আজকে মামুন বিশ্বাসের যে উদ্যোগ নিয়েছে সত্যি অসাধারণ। এতিম শিশুদের উন্নত মানের” গুড ফুড ” হোটেলে এনে ওদের মুখে ভাল মানের খাবার তুলে দিলেন।
তিনি আরো বলেন, এটা শুধু সরকার বা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নয়। মামুন বিশ্বাসের মত সবাই যেন এগিয়ে আসে। বিত্তবানরা যদি তাদের সন্তানদের জন্মদিন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসব বাচ্চাদের নিয়ে পালন করে, তাতে ওদের অনেক ভালো লাগবে। আমি চাই সমাজের সবাই সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুর পাশে দাঁড়াক। তাদেরকে পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখুক। পারিবারিক যে সব উৎসব আছে সেসব উৎসবের সাথে এদের একাত্ম করুক।