হিলি প্রতিনিধি : চলছে বিজয়ের মাস। বাঙালি জাতির এক আনন্দের মাস। প্রতি বছর এই মাসে লাল-সবুজ পতাকার গুরুত্ব থাকে বেশি। আর এ সময় বিভিন্ন মাপের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিক্রি করে জীবন-জীবিকা চালান ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বড়শ্রীবদ্ধী গ্রামের হেমায়েত মাতবক্ষর ।
দেখা যায়, হিলির প্রধান প্রধান রাস্তা ও বাজারে পায়ে হেঁটে পতাকা বিক্রি করছে ফরিদপুরের হেমায়েত মাতব্বর। হাতে রয়েছে ছোট, মাঝারি, বড় আকারের পতাকা। প্রতিটি বড় আকারের লাল-সবুজ পতাকা ১৫০ টাকা, মাঝারি ১০০ টাকা, ছোট আকারের ২০ থেকে ৩০ টাকা, মাথার ফিতা ১৫ টাকা, রবার ফিতা ২০ টাকা, লাঠি পতাকা ১০ টাকা আর চরকি পতাকা ১২ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। এতে প্রতিদিন গড়ে তার বিক্রি হয় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। যা থেকে তার দিনমজুর টিকে ৮শ, ১ হাজার টাকা।
পতাকা ক্রয়কারী নাজমুল ইসলাম নামের একজন জানান, বিজয়ের মাস চলছে তাই দেশের পতাকা গাড়িতে টাঙ্গিয়ে রাখবো। বিজয়ের মাস সেটার একটা মজাই আলাদা তাই ১০ টাকা দিয়ে একটা লাঠি পতাকা ক্রয় করলাম।
দোকানী রফিকুল ইসলাম হাসান জানান, আমার আগের পতাকাটি পুরাতন হইছে তাই এ ভাইয়ের কাছ থেকে একটি পতাকা কিনলাম। যেহেতু বিজয় দিবসে আমাদের পতাকা উত্তোলন করতে হবে।
কথা হয় ফরিদপুর থেকে পতাকা বিক্রি করতে আসা হেমায়েত মাতব্বরের সাথে তিনি বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে ৪ দিন আগে তিনি জয়পুরহাটে আসেন,সেখান থেকে আজকে তিনি হিলিতে আসেন। বাজারে এবং বাসা বাড়িতে বিক্রি করেন পতাকা। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগান। তবে শুধু পতাকা বিক্রি করেই সংসার চলে না বরং এটাকে ভালোবাসেন বলেই জাতীয় পাতাকা বিক্রি করেন।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে বাংলার বীর সন্তানরা আমাদের একটা স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। উপহার দিয়েছেন লাল-সবুজ পতাকা। তাদের দেয়া লাল-সবুজ পতাকা বুকে ধারণ করে রেখেছি এবং বিজয়ের মাসে মানুষের নিকট বিজয়ের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।