যুগের কথা প্রতিবেদক : নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে পিঁয়াজভর্তি ট্রাকে ডাকাতী ও ব্যাবসায়ী খুনের রহস্য অবশেষে উন্মোচন করল পিবিআই পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের পর চাঞ্চল্যকর এ ‘ক্লুলেস খুনের’ ঘটনার প্রধান আসামী নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের ভবানীপুরের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এছার উদ্দিনকে সনাক্ত করেন পিবিআই পুলিশ সদস্যরা। এছার উদ্দিন অন্য ডাকাতি মামলায় কুমিল্লা কারাগারে ছিল। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর এছার উদ্দিন ঘটনার সাথে নিজের ও বাকীদের সম্পৃক্তাতার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অন্যান্য ৫ অপরাধীকে সনাক্তের পর গ্রেপ্তারেরও প্রক্রিয়া চলছে।
সিরাজগঞ্জ পিবিআই পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম সোমবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং-এর মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, ‘গত ২০০০ সালের ১৭ নভেম্বর নাটোর থেকে পিয়াজ ভর্তী ট্রাক বগুড়ার নন্দীগ্রাম যাবার পথে মহাসড়কে যাত্রী ছদ্মবেশী ডাকাত দলের কবলে পড়ে। ডাকাত সর্দার এজার উদ্দিনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের দল নুর মোহাম্মদ নামের নাটোর জেলার পিয়াজ ব্যাসায়ীকে খুন করে। এরপর সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের পাটধারীতে ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের লাশ ফেলে দেয় তারা। ট্রাক ভর্তি পিয়াজ পরবর্তীতে গাজীপুরে বিক্রি করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বোন জামাই জাকির হোসেন পরবর্তীতে সলঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার উল্লেখযোগ্য কোন ক্লু না পাওয়া গেলেও উত্তরাঞ্চলের মহাসড়কে অন্যান্য ডাকাতির ঘটনার সূত্র ধরে মামলাটি তদন্ত করা হয়।
দীর্ঘ তদন্তের পর মুল অপরাধীদের সনাক্ত করতে সামর্থ হন পিবিআই পুলিশ সদস্যরা।’ পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘ভাড়া করার আগে যানবাহনের চালক-হেলপার ও মালিকের নাম-পরিচয় জানাটাও যেমন জরুরী, তেমনি যে ব্যাক্তি ভাড়া করছেন, তার পরিচয় জানা দরকার। নতুবা যাত্রীর ছদ্মবেশে সর্বদাই বিপদ ঘটতে পারে।’