হুমায়ুন কবির সুমন : সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস।
আগামী ২৮ ফেব্র“য়ারী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নিজেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে জেলার আনাছে কানাচে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর সাথে মতবিনিময় করছেন প্রবীন নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামে ১৯৫১ সালের ৩০ জুন জন্ম গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৬৯ সালে সিরাজগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে সিরাজগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলে জিএস হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়।
জিএস নির্বাচিত হওয়ার পর রাজনৈতিক কারণে সামরিক আইনে গ্রেফতার ও কারাবরণ করেন। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ছাত্রনেতা হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। বিএলএফ হিসেবে প্রথম ব্যাচে ভারতের দেরাদুনে ট্রেনিং গ্রহণ শেষে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের সহকারী কমান্ডার হিসেবে অনেক সম্মূখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ও যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তন্মধ্যে তাড়াশ থানার অন্তর্গত নওগাঁ যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। সেই ঘটনা তখনকার সময় স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রচারিত হয়েছে।
তার পর তিনি, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র নেতাদের সমম্বয়ে মুক্তিযোদ্ধা প্রশাসন গঠন এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রশাসক হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কামারখন্দ থানার প্রশাসক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯১ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার প্রথমে আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন ও পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে এখন পর্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
জেলা আওয়ামলীগের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি বহুবার বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীদের দ্বারা বাড়ীঘর ভাংচুর ও আক্রমন এবং ০১/১১ এর পরে সামরিক বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে চলছেন। নানা গুণে গুণান্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস তৃণমূলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে সকলের প্রিয়নেতায় পরিণত হয়েছেন।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ২৮ ফেব্র“য়ারী জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।